বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি গোদের ওপর বিষফোড়া: ন্যাপ

তিন সপ্তাহের মাথায় আবারও নির্বাহী আদেশে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এর মাধ্যমে গ্রাহক পর্যায়ের পাশাপাশি পাইকারিতেও বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি হবে, এমন সংবাদে গভীর উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (বাংলাদেশ ন্যাপ)।
আবারও বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রক্রিয়া সাধারণ জনগণের জন্য ‘গোদের ওপর বিষফোড়া’ ছাড়া অন্য কিছুই নয় বলেও মন্তব্য করেছে দলটি।
মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এ মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: প্রস্তাবিত বাজেট বৈষম্য আর লুটপাটের দলিল: বাংলাদেশ ন্যাপ
তারা বলেন, একদিকে পাইকাররা কারখানায় তরল প্রাকৃতিক গ্যাস পাচ্ছেন না। অন্যদিকে বিদ্যুৎ ও শিল্প খাতে গ্যাসের দাম পৌনে দুইশ ভাগের ওপরে বৃদ্ধির ফলে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। বিদ্যুতের মূল্য আবারও বৃদ্ধি হলে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্য আরও বৃদ্ধি পাবে। ফলে জনগণের দুর্ভোগ আরও বাড়বে।
তারা বলেন, বিদ্যুৎ খাতে খরচ বৃদ্ধি, ভর্তুকি প্রত্যাহার ও মূল্য সমন্বয়ের নামে আরেক দফা মূল্যবৃদ্ধি জনগণের পকেট কেটে লুটেরাদের পকেট ভর্তি করারই চেষ্টা মাত্র। বর্তমান আর্থিক সংকটে সরকার দায়িত্বশীল হলে জনগণের ঘাড়ে এমন বোঝা চাপিয়ে দিতো না। লুটেরাদের স্বার্থ রক্ষাকারী শাসকদের মানুষের সুবিধা-অসুবিধার দিকে কোনো নজর থাকে না। বর্তমান সরকার বারবার তাই প্রমাণ করছে।
তারা বলেন, বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি পেলে কৃষি শিল্পসহ সর্বত্র উৎপাদন খরচ বাড়বে। ওই বাড়তি দামও সাধারণ মানুষের পকেট থেকে তুলে নেওয়া হবে। এ সময় সাধারণ মানুষের আয় বাড়েনি। প্রকৃত আয় কমে গেছে। এই অবস্থায় বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি জনজীবনে আরও সংকট নিয়ে আসবে। দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা, অপচয় দূর করতে পারলে বিদ্যুতের মূল্য না বাড়িয়ে কমানো যেত। সরকারের ভুলনীতির কারণে উৎপাদন ব্যয় বাড়ার দায় সাধারণ মানুষ নেবে না।
কেএইচ/এমএইচআর/জিকেএস