বিডিআর বিদ্রোহ ছিল সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্র: ফখরুল

বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনটি সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্র ছিল বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনা ছিল একটা সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্র। এদের উদ্দেশ্য ছিল সেনাবাহিনীর মনোবলকে ভেঙে দেওয়া।
শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বনানীর সামরিক কবরস্থানে বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় নিহত সেনা কর্মকর্তাদের কবরে শ্রদ্ধা জানানোর পর এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
আরও পড়ুন: পিলখানা ট্র্যাজেডির ১৪ বছর: চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হয়নি কোনো মামলার
তিনি বলেন, বিডিআর বিদ্রোহ ভয়াবহ একটি চক্রান্ত, একটি ষড়যন্ত্র এদেশের বিরুদ্ধে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময়ও এত সেনা কর্মকর্তাকে হারাতে হয়নি।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ২৫ ফেব্রুয়ারি অত্যন্ত দুঃখজনক ও কলঙ্কজনক একটি দিন। এই দিনে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাকে বিদ্রোহের মধ্য দিয়ে অত্যন্ত নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে।
বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় প্রায় সাত হাজার সৈনিককে নির্দোষ দাবি করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এখন পর্যন্ত তাদের মামলার শুনানি শেষ হয়নি। কারাগারে তারা ১৩/১৪ বছর ধরে অমানবেতর জীবন-যাপন করছেন। তাদের পরিবার ও ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: বিডিআর বিদ্রোহ মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির মৃত্যু
তিনি বলেন, আমি আজকে দাবি করবো তাদের বিরুদ্ধে যে জুডিসিয়াল সমস্যাগুলো রয়েছে, তা দ্রুত শেষ করে একটা ব্যবস্থা করা উচিত, তাদের মুক্তি হওয়া উচিত।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, স্বাধীনতার সার্বভৌমত্ব হচ্ছে আমাদের সবচেয়ে বড় সম্পদ। এজন্য সমগ্র জাতির ঐক্যবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন। যে গণতন্ত্রের জন্য স্বাধীনতার যুদ্ধ হয়েছে, অসংখ্য মা-বোন তাদের সম্ভ্রম হারিয়েছেন, সেই গণতন্ত্র আমরা ফিরে পেতে চাই।
আরও পড়ুন: পিলখানা শহীদদের মাগফিরাত কামনায় বিজিবির দোয়া মাহফিল শনিবার
‘বিডিআর বিদ্রোহের দিন খালেদা জিয়ার গতিবিধি সন্দেহজনক ছিল’ আওয়ামী লীগ নেতার এমন বক্তব্যের জবাবে ফখরুল বলেন, এটা দায়িত্বহীন একটি কমেন্ট। বড় একটি ঘটনা যেখানে সব জাতির ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানে যার সম্বন্ধে বলা হচ্ছে, তিনি দেশের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তিনি দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী। তিনি এদেশের স্বাধীনতার সার্বভৌমত্বের জন্য সারা জীবন কাজ করেছেন।
কেএইচ/জেডএইচ/এএসএম