জাবির আ ফ ম কামালউদ্দিন হল প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবি


প্রকাশিত: ০১:৩৪ পিএম, ২২ মার্চ ২০১৬

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) আ ফ ম কামালউদ্দিন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মু. নজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এনে তারা অপসারণের দাবি জানিয়েছে ওই হলের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হল প্রাধ্যক্ষের অপসারণের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে ওই হলের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

স্বারকলিপিতে তারা বলেন, স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে প্রাধ্যক্ষ তার নিজের বাসায় কাজ করাচ্ছেন। হলের শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার সামগ্রী নেই বললেই চলে। বারবার বলা সত্বেও তিনি খেলার মাঠটি সংস্কার করতে উদ্যোগ গ্রহণ করেননি। হলের শৌচাগারগুলোর বেহাল দশা। শৌচাগারগুলোতে পানি থাকে না, কল নষ্ট,  লাইট নষ্ট, নিয়মিত পরিষ্কারও করা হয় না। ডাইনিং ও হলের সামনে খাবারের মান অত্যন্ত নিম্ন। হল প্রশাসনের পক্ষ থেকে খাবারের মান নিয়ন্ত্রণের জন্য কোন তদারকি নেই।

হলের শিক্ষার্থীদের আয়োজিত প্রথম পূর্নমিলনীতে প্রাধ্যক্ষ অসহযোগিতামূলক আচরণ করেছেন। তারপরও হলের শিক্ষার্থীরা তাকে সম্মান দিয়ে ওই অনুষ্ঠানের সভাপতি বানিয়েছে। কিন্তু তিনি সেই সম্মান রক্ষা করতে পারেননি। যখন তখন হলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করা তার নিত্ত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। তার মধ্যে বিন্দুমাত্র অভিভাবকসূলভ আচরণ নেই।

হলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিভিন্ন সময় হলের শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়লে তিনি খোঁজ খরব নেন না। দেখতেও আসেন না কি অবস্থায় আছে শিক্ষার্থী। হলের কোন সমস্যা নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলতে গেলে তিনি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। এসব কারণের শিক্ষার্থীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছেন।

এই হল প্রাধ্যক্ষকে অপসারণ করে সৎ ও দক্ষ হল প্রাধ্যক্ষ নিয়োগ দেয়ার জন্য তারা ২৬ মার্চ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামকে সময় বেঁধে দেয়। এসময় উপাচার্য তাদের কথা আমলে নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।

এ সময় উপাচার্যের সাথে বিশ্ববিদ্যালয় কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আবুল খয়ের, প্রক্টর অধ্যাপক তপন কুমার সাহা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে সোমবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে হল প্রাধ্যক্ষের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন হলের প্রায় তিন শতাধিক সাধারণ শিক্ষার্থী। পরে খোঁজ নিয়ে জানা হলের প্রাধ্যক্ষসহ হলের অন্যান্য শিক্ষকরা উপাচার্য বরাবর তাদের পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।

এ বিষয়ে জানার জন্য আ ফ ম কামালউদ্দিন হলে প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মু. নজিবুর রহমানকে একাধিক বার ফোন করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

হাফিজুর রহমান/এসকেডি/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।