অগ্নিকাণ্ডে সর্বস্বান্তদের পাশে দাঁড়াতে জামায়াতের আহ্বান

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:০৫ পিএম, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
ফাইল ছবি

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কৃষি মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে সর্বস্বান্তদের পাশে দাঁড়াতে সরকার, রাজনৈতিক সংগঠন, দাতা সংস্থাসহ সমাজের বিত্তবান ও সক্ষম মানুষকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমির মুজিবুর রহমান।

শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কৃষি মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ভস্মীভূত এলাকা পরিদর্শনের পর ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের মাঝে আর্থিক সহায়তা বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের একটি মিলনায়তনে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের ভারপ্রাপ্ত আমির আব্দুর রহমান মূসার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি ফখরুদ্দীন মানিক এবং কর্মপরিষদ সদস্য জিয়াউল হাসান।

অনুষ্ঠানে অগ্নিদুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ২৫ জন ব্যবসায়ীকে জামায়াতের পক্ষ থেকে প্রায় ছয় লাখ টাকা অনুদান হিসেবে বিতরণ করা হয়।

মুজিবুর রহমান বলেন, জামায়াত একটি গণমুখী, কল্যাণকামী, গণতান্ত্রিক ও আদর্শবাদী রাজনৈতিক সংগঠন। গণমানুষের কল্যাণই জামায়াতের রাজনীতির লক্ষ্য-উদ্দেশ্য। তাই প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে দেশ ও জাতির যেকোনো ক্রান্তিকালে সাধ্যমতো জনগণের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। সে ধারাবাহিকতায় আজ আমরা সীমিত সামর্থ্য নিয়ে আপনাদের দুঃখের ভাগিদার হওয়ার চেষ্টা করেছি।

তিনি বলেন, মূলত যে কোনো দুর্যোগকালীন মুহূর্তে জনগণের সব সমস্যার সমাধানের দায়িত্ব রাষ্ট্রের। কিন্তু দেশে ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত না থাকায় জনগণ রাষ্ট্রের সেবা থেকে অনেকটাই বঞ্চিত হচ্ছেন। তাই গণমানুষের যে কোনো সমস্যার সমাধান ও আর্তমানবতার মুক্তির জন্য জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বে দেশে আল্লাহর আইন ও সৎলোকের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে কুরআনের রাজ প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। তিনি সেই স্বপ্নের সমাজ বিনির্মাণে সবাইকে জামায়াতে পাতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।

তিনি আরও বলেন, বান্দার ওপর কষ্ট আসে গোনাহ মাফের জন্য। আর এটি তকদিরের সাথে সম্পৃক্ত। মূলত, দুনিয়ার ক্ষতি বড় ক্ষতি নয়। আমাদের অবশ্যই তকদিরে বিশ্বাস করতে হবে। আল্লাহর কাছ থেকে কোনো পরীক্ষা এলে সে পরীক্ষায় আমাদের অবশ্যই উত্তীর্ণ হতে হবে। যে কোনো অবস্থায় সবর এবং রিজিকে বরকতের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করতে হবে। তাহলেই দেশে ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও বৈষম্যমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে।

তিনি সৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবিলা প্রসঙ্গে বলেন, দেশে ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠিত থাকলে জাকাতভিত্তিক দুর্যোগ ফান্ড গঠন করা হতো। সে ফান্ড থেকেই ক্ষতিগ্রস্তরা প্রয়োজনীয় সহায়তা পেত। দেশে সরকারিভাবে রিলিফ ফান্ড থাকলেও তা দেশের মানুষের কল্যাণে তেমন কোনো কাজে আসে না বরং লুটপাট ও চুরির মাধ্যমেই শেষ হয়ে যায়। তাই গণমানুষের মুক্তি ও কল্যাণের জন্য দেশে ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠার কোনো বিকল্প নেই।

তিনি সেই শান্তির সমাজ বিনির্মাণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।

কেএইচ/এমআরএম/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।