‘চেতনার নামে প্রজন্মের মধ্যে বিভক্তি রাষ্ট্রের জন্য শুভ নয়’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:১২ পিএম, ১৫ জুলাই ২০২৪

একপক্ষ ‘তুমি কে, আমি কে বাঙালি, বাঙালি,’ অন্যপক্ষ ‘তুমি কে, আমি কে রাজাকার, রাজাকার’ বলে যখন স্লোগান দিচ্ছে তখন সমগ্র জাতি গভীর উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠিত বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বা বিপক্ষের নামে প্রজন্মের মধ্যে বিভক্তি রাষ্ট্রের জন্য শুভ নয়।

তারা বলেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী নিজেই এই বিভক্তিকে উষ্কে দিয়ে আসলে দেশকে কোথায় নিয়ে যেতে চাচ্ছেন? আসলে কি এই বিভক্তির মধ্য দিয়ে সরকারপ্রধান দেশের সব লুটেরা, দুর্নীতিবাজ আর দেশবিরোধীদের আড়াল করতে চাচ্ছেন। এই ইস্যু কি সরকার, দেশ ও রাষ্ট্রের কল্যাণ বয়ে আনবে?

সোমবার (১৫ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা এসব কথা বলেন।

নেতৃদ্বয় তথাকথিত সরকারপন্থি বুদ্ধিজীবী ও সরকার সমর্থক বিজ্ঞজনদের কাছে প্রশ্ন রাখেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বসেই সমস্যা সমাধান করা যেত সেটা না করে একটি অপ্রত্যাশিত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে আজকের প্রজন্মকে দুইটা ধারায় বিভক্ত করে দেওয়া হলো এটা জাতির জন্য ভালো কিছু বহন করে নিয়ে আসবে কি? নাকি সমগ্র জাতিকে সংঘাত-সংঘর্ষের দিকে ঠেলে দিয়ে দেশটাকে আকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করতে যারা ষড়যন্ত্র করছেন তাদের পালে হাওয়া দেওয়া হচ্ছে।

তারা বলেন, কোনো ধারায় বেশি, কোনো ধারায় কম সেই বিশ্লেষণের প্রয়োজন নাই। তবে, ৫৩ বছরে স্বাধীনতার বিরুদ্ধবাদীদের মাধ্যমে যা সম্ভব হয় নাই তা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের একক শক্তি বলে দাবিদাররা সম্ভব করে দিলো একটি কথার মধ্য দিয়ে এটি আজ দিবালোকের মতো স্পষ্ট। ফলে দেশের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠসহ অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মধ্যরাতে হাজার হাজার শিক্ষার্থীর আকাশ বাতাস প্রকম্পিত করা যে স্লোগান তুমি কে, আমি কে রাজাকার, রাজাকার। অন্যদিকে আরেকটি স্লোগান তুমি কে, আমি কে বাঙালি, বাঙালি।

ন্যাপ নেতৃদ্বয় আরও বলেন, জনগণের ভোটাধিকার, নিরাপদ সড়কের অধিকার, চাকরির অধিকার, দুর্নীতিমুক্ত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার অধিকার সর্বোপরি স্বাধীনতা ও সাম্যের অধিকার নিয়ে যারাই কথাই বলছেন বা বলতে চাচ্ছেন অথবা আন্দোলন-সংগ্রামে অংশ নিচ্ছেন তাদের এক কথায় রাজাকার হিসাবে আখ্যায়িত করে প্রজাতন্ত্রের নাগরিকদের স্বাধীনতার শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করা মহান মুক্তিযদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশের সংবিধান ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি।

তারা বলেন, প্রজন্মকে বিভক্ত করে ফায়দা লুটছেন কারা? কারা দেশের ভবিষ্যতকে বিভক্ত করে দিয়ে দেশটাকে লুটেপুটে খেতে চাচ্ছেন, কারা দেশটাকে শূন্যে পরিণত করে একটা ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার চেষ্টা করছেন? সূক্ষ্মভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের অবমাননা করছেন প্রকাশ্যে। কোন অপশক্তি সুযোগটা লুফে নিচ্ছে।

নেতৃদ্বয় বলেন, সব পক্ষকে এখনই বিষয়টি ভেবে দেখতে হবে। এ বিষয়ে দায়িত্বশীলরা এখনই ভূমিকা পালন করতে না পারলে পরিস্থিতি ভিন্নখাতে প্রবাহিত হতে পারে যা কারো জন্যই শুভ ফল বয়ে আনবে না, আনতে পারে না।

কেএইচ/এমআরএম/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।