মালদ্বীপ প্রবাসীদের বেতন না দিলে নিয়োগকর্তাদের সরকারি সেবা বন্ধ
মালদ্বীপে প্রবাসী শ্রমিকদের অবহেলাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রবাসীদের নিয়মিত বেতন না দিলে নিয়োগকর্তাদের সরকারি সেবা বন্ধসহ বড় অংকের জরিমানার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
কর্মসংস্থান আইনের সংশোধনীর আওতায় এ বিধান কার্যকর হচ্ছে বলে বৃহস্পতিবার এক ঘোষণায় জানিয়েছে মালদ্বীপের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
প্রবাসীদের বেতন না দেওয়া, মৌলিক সেবা থেকে বঞ্চিত রাখা, শোষণ করা কিংবা আইনবিরুদ্ধ কার্যকলাপে বাধ্য করাকে অবহেলা হিসেবে গণ্য করা হবে। এছাড়া স্থানীয় কোটার বাইরে বিদেশিকর্মী নিয়োগও একই অপরাধের আওতায় আসবে।
জরিমানা ও শাস্তির বিধান
প্রতিটি অবহেলাকারী নিয়োগকর্তাকে সর্বনিম্ন ৫০ হাজার রুপি জরিমানা করা হবে। ঘটনার পুনরাবৃত্তির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১ লাখ রুপি পর্যন্ত জরিমানা আরোপ করা যাবে।
একাধিকবার অবহেলার ঘটনায় জরিমানার পাশাপাশি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নিয়োগকর্তার রাষ্ট্রীয় পরিষেবা স্থগিত থাকবে।অবহেলাকারী নিয়োগকর্তাদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করা হবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সোমবার থেকে এক্সপ্যাট পোর্টালের মাধ্যমে ব্যবস্থা কার্যকর হয়েছে। জরিমানা পরিশোধ না করা হলে সংশ্লিষ্ট নিয়োগকর্তাকে আর কোনো সরকারি পরিষেবা দেওয়া হবে না।
অবৈধ অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগ
সরকার মেয়াদের প্রথম তিন বছরের মধ্যে অবৈধ অভিবাসী সমস্যা সমাধানের লক্ষ্য নিয়েছে। এর অংশ হিসেবে বিদেশি শ্রমিকদের তথ্য সংগ্রহ, অবৈধ প্রবাসীদের চিহ্নিতকরণ এবং নিয়ম মানতে সহায়তার জন্য ব্যাপক প্রচারণা চলছে।
গত সপ্তাহে মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, অবৈধ প্রবাসীদের একটি বড় অংশই নিয়োগকর্তাদের অবহেলার কারণে সৃষ্টি হচ্ছে।
প্রবাসীদের অভিযোগ
প্রবাসীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মালদ্বীপের নাগরিক ও নিয়োগকর্তাদের জন্য আইন কাগজে-কলমেই সীমাবদ্ধ, বরং অনেক সময় প্রবাসীদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এজেন্সি বা এক মালিকের নামে কাগজপত্র ঠিক রেখে অন্য স্থানে কাজ করলে সমস্যা তৈরি হয়।
অভিযোগ রয়েছে, সরকার এজেন্সিকে কোটা দিলেও বাস্তবে প্রবাসীদের কাজের সুযোগ সীমিত করা হয়। অনিয়মের অভিযোগে অনেক শ্রমিককে আটক করে দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
প্রবাসীদের দাবি, এই বৈষম্যমূলক আইন বন্ধ করতে পারলেই তাদের জন্য প্রকৃত সুরক্ষা নিশ্চিত হবে।
এমআরএম/জেআইএম