ডেনমার্কে ‘শরণার্থী’ তালিকায় বাংলাদেশ


প্রকাশিত: ০৫:৩১ এএম, ২৫ মার্চ ২০১৭

বাংলাদেশিদের ভিসা দিতে ‘শরণার্থী’ দেশগুলোর তালিকায় অর্ন্তভুক্ত করে অভিবাসন বিষয়ক গেজেট প্রকাশ করেছে ডেনমার্ক। এতে করে দেশটিতে ভিসা ও ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে বাংলাদেশিদের জন্য নতুন জটিলতা তৈরি হতে পারে।

গত ১ মার্চ প্রকাশিত দেশটির নতুন অভিবাসন গেজেটে বাংলাদেশকে রাখা হয়েছে গ্রুপ ৪-এ। এতে ডেনমার্কের অভিবাসন প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ এখন বিশ্বের অন্য ১২টি শরণার্থী দেশগুলোর একটি। এরআগে বাংলাদেশ গ্রুপ ৩ এর সদস্য ছিল।

নতুন অভিবাসন গেজেটের ফলে বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে ভিসার জন্য আবেদন করা এবং ডেনমার্কে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের তাদের পরিবার-পরিজনের জন্য ভিসা আবেদন ও ব্যবসায়িক যোগাযোগের ক্ষেত্রে নানা জটিলতা সৃষ্টি হবে বলে আশঙ্কা অভিবাসন বিশেষজ্ঞদের।

কোপেনহেগেনের অভিবাসন আইন বিশেষজ্ঞ অক্রাম্প বলেছেন, এ গেজেটের মাধ্যমে বাংলাদেশ এখন আফগানিস্থান, ইরাক, সিরিয়া, লিবিয়া ও সোমালিয়ার মতো শরণার্থী পাঠানো দেশগুলোর একটি হিসেবে পরিগণিত হবে। ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে এই দেশগুলোর জন্য কঠোর নীতি অনুসরণ করা হয়। যদিও বর্তমানে বিভিন্ন উন্নয়ন সূচকে সারা বিশ্বে বাংলাদেশের অগ্রগতি লক্ষ্যণীয়।

তিনি জানান, বাংলাদেশে কর্মরত বিভিন্ন ডেনিশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা এনজিও কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও এখন ভ্রমণ ভিসার ক্ষেত্রে জটিলতায় পড়বেন।

ডেনমার্ক সরকারের এ সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রতিবেশী অন্যান্য দেশ, যেমন মিয়ানমারের নাগরিকরা বাংলাদেশের পরিচয়পত্র নিয়ে ডেনমার্কে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় চায়। এসব ঘটনা বিভিন্ন ডেনিশ তদন্ত সংস্থার গবেষণায় উঠে আসা একটি কারণ হতে পারে।

ডেনমার্কে কর্মরত ডেনিশ বাংলাদেশি আইনি পরামর্শক মোহাম্মদ চৌধুরী বলেছেন, অভিবাসী বাংলাদেশিরা ডেনমার্কের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছেন। কিন্তু এই গেজেটের কারণে প্রবাসী বাংলাদেশিরা অসুবিধার মুখোমুখি হবেন।

প্রবাসী বাংলাদেশি ও কমিউনিটি নেতারা আশা করছেন, বাংলাদেশ সরকারের কূটনৈতিক তৎপরতাতেই এই সমস্যার ‘সুরাহা’ হতে পারে।

এসআর/এমএস

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]