করোনায় কানাডায় ১২ হাজার জনের মৃত্যু
কানাডায় ক্রমেই বাড়ছে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। অনেক ক্ষেত্রে করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ করতে স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। এ পর্যন্ত কানাডায় ভাইরাসটিতে মারা গেছেন প্রায় ১২ হাজার।
দেশটির আলবার্টায় ক্রমবর্ধমান হারে করোনা বৃদ্ধি হওয়ায় হাসপাতাল ও নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রগুলোতে ব্যাপক চাপ বাড়ছে।
কানাডার মধ্যে আলবার্টায় এখন সর্বোচ্চ করোনা আক্রান্ত রোগী রয়েছে। এ অঞ্চলে নতুন করে ৫ জনের মৃত্যু এবং ১৭৩১ জন আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে।
ইতোমধ্যেই আলবার্টার ক্যালগেরির সিটি মেয়র নাহিদ ন্যান্সি সিটিতে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন।
অন্যদিকে কানাডার প্রধান ৪টি প্রদেশ অন্টারিও, ব্রিটিশ কলম্বিয়া, আলবার্টা এবং কুইবেকে নাটকীয়ভাবে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে হাসপাতাল, নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে তুলনামূলকভাবে ডাক্তার ও নার্সদের ওপর চাপ পড়ছে।
কানাডার সবচেয়ে বড় অনুষ্ঠান বড়দিনের এখনও এক মাস বাকি। দেশটির বিভিন্ন প্রদেশের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা ঝাঁপিয়ে পড়ছেন কীভাবে কানাডিয়ানদের স্বাস্থ্যব্যবস্থা সুশৃঙ্খল নিয়ন্ত্রণ এবং ছুটির উপভোগ্য সময়গুলোতে ভারসাম্য তৈরি করা যায়।
এদিকে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ফাইজারের ভ্যাকসিনটিকে গ্রহণযোগ্য মনে করছে কানাডা। ক্রিসমাসের আগেই এটি ব্যবহারের অনুমোদন দিতে পারে দেশটির উচ্চমহল।
হেলথ কানাডার প্রধান উপদেষ্টা ড. সুপ্রিয়া শর্মা সাংবাদিকদের এই তথ্য জানিয়ে বলেছেন, হেলথ কানাডার পর্যালোচনায় ফাইজারের ভ্যাকসিনটি সবচেয়ে অগ্রসর এবং নিরাপদ মনে হয়েছে। ক্রিসমাসের আগেই এর ব্যবহারের অনুমোদন দিতে হেলথ কানাডা কাজ করছে। যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নও ক্রিসমাসের আগেই ভ্যাকসিন অনুমোদনের পরিকল্পনা নিয়েছে।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, কানাডায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লাখ ৬৪ হাজার ৮১০ জন। ১১ হাজার ৯৭৬ জন মারা গেছেন। সুস্থ হয়েছেন ২ লাখ ৯০ হাজার ৭ জন।
কানাডার বিভিন্ন প্রদেশের বাসিন্দারা আশঙ্কার মধ্য দিয়ে দিন যাপন করছেন। একদিকে শীতের প্রকোপ অন্যদিকে করোনা ভাইরাসের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। তবুও প্রতীক্ষিত ভ্যাকসিন আর সুদিনের অপেক্ষায় কানাডাবাসী।
এফআর/এমকেএইচ