সিআইপি সোহেল রানার টিউবওয়েল পেয়ে খুশি অসহায় মানুষগুলো

মোহাম্মদ মাহামুদুল
মোহাম্মদ মাহামুদুল মোহাম্মদ মাহামুদুল
প্রকাশিত: ০৯:৪৮ এএম, ০১ ডিসেম্বর ২০২৩

টিউবওয়েল না থাকায় বহুদিন ধরে অসহায় মানুষগুলো খাবার পানির কষ্টে ছিল। অন্যের বাড়ি থেকে প্রতিদিন খাবার পানি আনতে হতো তাদের। বিষয়টি স্থানীয় কারও নজরে না এলেও, এসেছে মালদ্বীপপ্রবাসী ব্যবসায়ী সিআইপি সোহেল রানার।

তিনি ঘটনাটির সত্যতা জানার পর চাঁপাইনবাবগঞ্জের কয়েকটি গ্রামে টিউবওয়েল উপহার দিয়েছেন। আর এই টিউবওয়েল পেয়ে আনন্দে আত্মহারা তারা। সোহেল রানার উপহারের মাধ্যমে এতদিনের কষ্ট লাঘব হলো তাদের।

টিউবওয়েল পাওয়া অসহায় মানুষগুলো বলেন, অন্যের বাড়ি থেকে পানি নিয়ে আসতে খুব কষ্ট হতো। স্থানীয় একজন ভাইয়ের মাধ্যমে আমাদের টিউবওয়েল বসিয়ে দিয়েছে মালদ্বীপপ্রবাসী সোহেল ভাই। এখন থেকে নামাজের জন্য অজু করতে পারব, পানি খেতে পারব। আমরা খুব খুশি হয়েছি। আল্লাহ তার নেক হায়াত ও কামাই রুজিতে বরকত দিক সবসময় এই দোয়াই করবো।

মালদ্বীপপ্রবাসী ব্যবসায়ী সিআইপি আলহাজ সোহেল রানা বলেন, দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় কিছু অসহায় মানুষ আছে, যাদের কাছে একটি টিউবওয়েল স্থাপন করার মতো সামর্থ্য নেই। তারা দিনের পর দিন অন্যের বাড়ি থেকে পানি এনে পান করেন। তেমনি চাঁপাইনবাবগঞ্জের বানু বেগম, খাইরুল ইসলাম, আলতয়ারা বেগম এবং নিজাম উদ্দিনের বাড়িতে টিউবওয়েল না থাকায় অন্যের বাড়ি থেকে পানি নিয়ে আসেন এমন একটি তথ্য আমার কাছে আসলে আমি দ্রুত তাদের জন্য টিউবওয়েলের ব্যবস্থা করার জন্য উদ্যোগ নেই।

jagonews24

তিনি বলেন, আমি চাই এমন মানুষগুলোর জন্য নিরাপদ পানির ব্যবস্থা করতে। আমার এ সামাজিক কর্মকাণ্ড একটি চলমান প্রক্রিয়া। টিউবওয়েল দেওয়ার পাশাপাশি যখনই মানুষের অসহায় জীবনের কথা শুনেছি তখনই চেষ্টা করেছি তাদের জন্য কিছু করার। তিনি দেশে ও প্রবাসে সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন।

সিআইপি সোহেল রানা মালদ্বীপের বসবাস করেন। তিনি বিভিন্ন সামাজিক ও মানবিক কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে প্রশংসা কুড়িয়ে চলেছেন প্রতিনিয়ত। তার মাধ্যমে দেশে কয়েকটি মসজিদ ও অনেক অসহায় পরিবারকে টিউবওয়েল থেকে শুরু করে নানাবিধ সহায়তা করে যাচ্ছেন।

তিনি বিদেশে বাংলাদেশি পণ্যের আমদানিকারক ক্যাটাগরিতে টানা চতুর্থবার সিআইপি মনোনীত হয়েছে মালদ্বীপ থেকে। এই প্রবাসী ব্যবসায়ী গ্লোবাল রিচ গ্রুপ অফ কোম্পানির চেয়ারম্যান আলহাজ সোহেল রানা।

এমআরএম/জিকেএস

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]