কামান দাগিয়ে ইফতারের সংকেত দেয় লেবানন

ইসলাম ডেস্ক
ইসলাম ডেস্ক ইসলাম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:২৯ এএম, ০৮ এপ্রিল ২০২৩

মহিমান্বিত মাস রমজান। এ মাসকে ঘিরে বিশ্বব্যাপী রয়েছে নানা অনুষ্ঠান আর রীতি-রেওয়াজ। সারাদিন রোজা রেখে সন্ধ্যায় বাহারি ইফতার, ইফতারের পর তারাবিহের নামাজ পড়া ইত্যাদি ছাড়াও আনন্দ-উৎসব করার মাধ্যমেও সবার মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া হয় রমজানের খুশির আমেজ। ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের চেয়েও এসব রীতি সাংস্কৃতিক উদযাপন হিসেবে বেশ জনপ্রিয়। মধ্যপ্রাচ্যের দেশ লেবানন। ১৮টি ধর্মীয় গোষ্ঠী লেবাননে বিরাজমান। প্রত্যেকেরই নিজস্ব ধর্মীয় রীতিনীতি ও উৎসব রয়েছে। কিন্তু এক ধর্মগোষ্ঠীর লোক অন্য ধর্মগোষ্ঠীর লোকের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়ায় না। ধর্মীয় সমঝোতা আর পারস্পরিক সম্প্রীতি বেশ জোরদার দেশটিতে। পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে এমন নজির নেই।

কামান দাগিয়ে ‘মিডফা আল ইফতার’
রমজানের রোজা এলে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে অনেক দেশে প্রতিদিন ইফতার-সেহরিতে কামান দাগা হয়ে থাকে। মাসব্যাপী এমন অবস্থা বিরাজ করে। প্রতিদিন রোজা শেষ হওয়ার সংকেত হিসেবে এমন করা হয়। একে বলে মিডফা আল ইফতার। প্রায় ২০০ বছর আগে মিসরে এভাবে রোজা শেষের সংকেত দেওয়ার প্রথা শুরু হয়েছিল বলে জানা যায়।

ইফতারের সংকেত প্রথা
একসময় মিসর ছিল অটোমান সাম্রাজ্যের আওতাধীন। তাদের শাসক ছিলেন খোস কাদাম। কথিত আছে, খোস কাদাম একদিন সূর্যাস্তের সময় নতুন একটি কামান পরীক্ষা করার সময় ঘটনাক্রমে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ফেলেন। সমগ্র কায়রোয় শব্দটি শোনা গিয়েছিল। তারা মনে করেছিল, ইফতারের সময় হয়েছে, তা জানানোর জন্য বুঝি এটি নতুন শাসকের নতুন পদ্ধতি। তারা একে স্বাগত জানায়। তখন থেকেই ইফতারে কামান দাগানোর সংকেত শুরু হয়।

লেবানিজ আর্মির প্রথা
শুধু তাই নয়, খোস কাদামের কন্যা হাজা ফাতমা এভাবেই ইফতারের সময় ঘোষণার অনুরোধ জানান। প্রথাটি মিসরেই সীমাবদ্ধ থাকেনি। লেবাননসহ মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে অনেক দেশে পৌঁছেছিল। ১৯৮৩ সালে ইফতার ঘোষণার সময় কয়েকটি কামান দিয়ে একটি আক্রমণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কয়েকটি কামান বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। পরে লেবানিজ আর্মি এ প্রথা পুনরায় শুরু করে। আজও তা অব্যাহত রয়েছে।

এমএমএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।