শাওয়াল মাসে বিয়ের কোনো ফজিলত আছে কি?

ইসলাম ডেস্ক
ইসলাম ডেস্ক ইসলাম ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:০৩ এএম, ২১ এপ্রিল ২০২৪

শাওয়াল হিজরি ক্যালেন্ডারের দশম মাস। ইসলামে এই মাসের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এটি হজের তিন মা সের অন্যতম।রমজান পরবর্তী এ মাসটিতে ৬টি রোজা রাখার বিশেষ ফজিলত বর্ণিত হয়েছে হাদিসে। আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যারা রমজানের ফরজ রোজা রাখবে, তারপর শাওয়ালের ছয় রোজা রাখবে, তারা সারাবছর রোজা রাখার সওয়াব অর্জন করবে। (সহিহ মুসলিম)

আরবে ইসলামপূর্ব জাহেলি যুগে শাওয়াল মাসে বিয়ে করাকে অশুভ মনে করা হতো। শাওয়াল মাসে বিয়ে করলে অকল্যাণ হয়, দাম্পত্য সম্পর্ক ভালো যায় না ইত্যাদি কুসংস্কার ছিল মানুষের মধ্যে। আয়েশা (রা.) এ কুসংস্কারের বিরোধিতা করে বলেছেন, আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাকে শাওয়াল মাসে বিয়ে করেছেন এবং শাওয়াল মাসেই আমার বাসর রজনী হয়েছে। আল্লাহর রাসুলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সহধর্মিণীগণের মধ্যে আমার চেয়ে কে অধিক (তার ভালোবাসা প্রাপ্তিতে) সৌভাগ্যবতী ছিলেন? (সহিহ মুসলিম)

তার এ বক্তব্যের কারণে অনেকে শাওয়াল মাসে বিয়ে করা মুস্তাহাব মনে করেন। কিন্তু শাওয়াল মাসে বিয়ের বিশেষ কোনো ফজিলত বা গুরুত্ব নবিজির (সা.) থেকে বর্ণিত হয়নি। নবিজি (সা.) শাওয়াল মাসে যেমন বিয়ে করেছেন, অন্যান্য মাসেও বিয়ে করেছেন। নবিজির (সা.) যুগে বা পরবর্তী সময়েও সাহাবিদের মধ্যে শাওয়াল মাসে বিয়ে করার বিশেষ কোনো আগ্রহ দেখা যেতো না। এ থেকে বোঝা যায় সাহাবিরা এটাকে সুন্নত বা মুস্তাহাব মনে করতেন না।

সুতরাং শাওয়াল মাসে বিয়ে করাকে যেমন অশুভ মনে করা যাবে না, এ মাসে বিয়ে করাকে বিশেষ ফজিলতপূর্ণ মনে করারও কোনো ভিত্তি নেই। তবে নবিজি (সা.) ও আয়েশার (রা.) বিয়ের স্মৃতি অনুসরণের জন্য কেউ যদি চান, শাওয়াল মাসে বিয়ে করতে পারেন।

ওএফএফ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।