একাকী জোহর-আসর নামাজে আওয়াজ করে কেরাত পড়া যাবে কি?
![একাকী জোহর-আসর নামাজে আওয়াজ করে কেরাত পড়া যাবে কি?](https://cdn.jagonews24.com/media/imgAllNew/BG/2023March/qiyam-recitation-salah-prayer-standing-20240529171301.jpg)
নামাজের একটি ফরজ আমল হলো কেরাত বা কোরআন তেলাওয়াত। কিছু নামাজে কোরআন তিলাওয়াত উচ্চৈস্বরে করতে হয়, কিছু নামাজে নিম্নস্বরে তিলাওয়াত করতে হয়।
ফজর, জুমা, দুই ঈদের নামাজ, তারাবিহ, রমজান মাসের বেতর নামাজ এবং মাগরিব ও ইশার প্রথম দুই রাকাতে ইমামের জন্য আওয়াজ করে কেরাত পড়া ওয়াজিব। মুক্তাদি অর্থাৎ ইমামের পেছনে নামাজ আদায়কারীরা এসব নামাজে চুপ থেকে ইমামের কেরাত শুনবেন। এসব নামাজে ইমাম যদি বড় এক আয়াত বা ছোট তিন আয়াত পরিমাণ নিম্নস্বরে পড়েন তাহলে সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে।
সংখ্যাগরিষ্ঠ আলেমদের মত অনুযায়ী মুনফারিদ বা একা নামাজ আদায়কারীর জন্যও ফজর এবং মাগরিব ও ইশার প্রথম দুই রাকাতে উচ্চৈস্বরে কেরাত পড়া সুন্নত। তবে নিম্নস্বরে কেরাত পড়লেও মুনফারিদের নামাজ হয়ে যাবে, সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে না। নবিজির স্ত্রী আয়েশাকে (রা.) প্রশ্ন করা হয়েছিল, নবিজি রাতের নামাজে উচ্চৈস্বরে কোরআন পড়তেন না নিম্নস্বরে? তিনি উত্তর দিয়েছিলেন কখনও উচ্চৈস্বরে পড়তেন, কখনও নিম্নস্বরে। (মুসনাদে আহমদ)
জোহর ও আসরের নামাজে ইমামের জন্য যেমন নিম্নস্বরে কেরাত পড়া ওয়াজিব, মুনফারিদের জন্যও নিম্নস্বরে কেরাত পড়া ওয়াজিব। ইমাম ও মুনফারিদ জোহর-আসরে ভুলে উচ্চৈঃস্বরে কেরাত পড়লে সাহু সিজদা দিতে হবে।
তাই এ ব্যাপারে সতর্ক থাকা আবশ্যক। ইচ্ছাকৃত জোহর-আসরে আওয়াজ করে কেরাত পড়া থেকে বিরত থাকতে হবে, ভুলে আওয়াজ করে কেরাত পড়লে সাহু সিজদা দেবে।
ওএফএফ/এএসএম