সফরে ফজরের সুন্নত পড়তে হবে কি?

ইসলাম ডেস্ক
ইসলাম ডেস্ক ইসলাম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:১৯ পিএম, ১৯ আগস্ট ২০২৪

সফরের ক্লান্তি ও কষ্ট বিবেচনা করে ইসলাম মুসাফিরদের শরিয়ত পালনে কিছু ছাড় দিয়েছে। যেমন রমজানের ফরজ রোজা মুসাফিররা চাইলে ভেঙে কাজা করে নিতে পারেন, জুমার নামাজ ও কোরবানি মুসাফিরদের ওপর ওয়াজিব নয়, প্রতিদিনের চার রাকাত বিশিষ্ট ফরজ নামাজ মুসাফিররা কসর বা সংক্ষিপ্ত করতে পারেন ইত্যাদি। সফরে নামাজ সংক্ষিপ্ত করার সুযোগ দিয়ে আল্লাহ বলেন,

وَ اِذَا ضَرَبۡتُمۡ فِی الۡاَرۡضِ فَلَیۡسَ عَلَیۡکُمۡ جُنَاحٌ اَنۡ تَقۡصُرُوۡا مِنَ الصَّلٰوۃِ

যখন তোমরা দেশে-বিদেশে সফর কর, তখন নামাজ সংক্ষেপ করাতে দোষ নেই। (সুরা নিসা: ১০১)

কেউ তার আবাস থেকে ৪৮ মাইল বা ৭৮ কিলোমিটার দূরে যাওয়ার নিয়ত করে নিজের এলাকা থেকে বের হলেই শরিয়ত তাকে মুসাফির গণ্য করে। তখন সে চার রাকাতবিশিষ্ট ফরজ নামাজ অর্থাৎ জোহর, আসর ও ইশার ফরজ নামাজ সংক্ষিপ্ত করতে পারে।

সফরে নামাজ কসর করা বা সংক্ষিপ্ত করার বিধান শুধু চার রাকাতবিশিষ্ট ফরজ নামাজের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। সুন্নত বা অন্য কোনো নামাজ কসর করার নিয়ম নেই।

সফরে সুন্নত নামাজ পড়া বা না পড়ার ব্যাপারে আল্লাহর রাসুলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়সাল্লাম এবং সাহাবায়ে কেরামের দুই ধরনের আমল বর্ণিত হয়েছে। কোনো কোনো বর্ণনায় সুন্নত পড়ার কথা এসেছে। আবার কোনো কোনো বর্ণনায় সুন্নত না পড়ার কথাও এসেছে।

তবে ফজরের সুন্নতের ব্যাপারে এসেছে যে, আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সুস্থ-অসুস্থ, মুসাফির-মুকিম কোনো অবস্থাতেই ফজরের সুন্নত ছাড়তেন না। (মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবা: ৩৯৫০)

সুন্নতে মুয়াক্কাদা নামাজসমূহের মধ্যে ফজরের সুন্নত নামাজ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তাই বিশেষ কোনো অসুবিধা না থাকলে সফর অবস্থায়ও ফজরের সুন্নত আদায় করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে।

সফরের ক্লান্তি বা তাড়া থাকলে অন্যান্য সুন্নত নামাজ ছেড়ে দেওয়া যেতে পারে। তবে ঝামেলা ও ক্লান্তিমুক্ত থাকলে সুন্নত নামাজ পড়ে নেওয়াই উত্তম।

ওএফএফ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।