আল্লাহর নিয়ামাতের অবমূল্যায়নের পরিণাম


প্রকাশিত: ০৯:৪০ এএম, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

আল্লাহ তাআলা দোষী-নির্দোষ সবাইকেই নিয়ামাত প্রদানে ধন্য করেন। কিন্তু যখন কোনো নবির কাওমের লোকেরা আল্লাহর নিয়ামাতের শুকরিয়া আদায় ও কোনো নির্দেশ পালন করে না, তখন তাদের পরিণতি অত্যন্ত ভয়াবহ হয়ে থাকে। আল্লাহ তাআলা সুরা বাক্বারার ৫৮ নং আয়াতে এ বর্ণনাই দিয়েছেন। যাতে ময়দানে তীহ-এর ঘটনা উল্লেখযোগ্য-

আল্লাহ তাআলা বনি ইসরাইল জাতির জন্য আসমান থেকে ‘মান্না ও সালওয়া’ দান করেছিলেন। যা ছিল আল্লাহর নিয়ামাত। দীর্ঘ দিন খাওয়ার পর তারা এ খাবারে নিরানন্দ ও বিরক্ত প্রকাশ করে এবং অভ্যাস মোতাবেক খাবারের আবেদন করে।

তখন হুকুম হলো যে, তোমরা যে খাবার চাও, সেটা নগরবাসীর খাদ্য। যা নগরে পাওয়া সম্ভব। যদি তোমাদের সে খাদ্যের একান্তই প্রয়োজন হয়, তবে তোমাদের সামনে যে নগর রয়েছে, সেখানে প্রবেশ কর। কিন্তু নগরীতে প্রবেশকালে যে আদব রয়েছে তা রক্ষা করতে হবে। অর্থাৎ বিনয় ও নম্রতার সহিত সম্মান দেখিয়ে নগরীতে প্রবেশ করবে। এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবে। তবে আল্লাহ ক্ষমা করে দেবেন বলে ওয়াদা করেছেন। অতপর নগরে প্রবেশ করে তোমরা পানাহারের প্রশস্ত ব্যবস্থা করে নেবে।

অথচ ‘মান্না ও সালওয়া’কে আল্লাহ তাআলা উত্তম খাবার হিসেবে তৈরি করে দুনিয়াতে নাজিল করতেন। যেখানে বনি ইসরাইলের কোনো কষ্ট ছিল না। তাদের চাহিদা মোতাবেক আসমানি খাবারের সকল সুযোগ-সুবিধা বন্ধ হয়ে যায়।
এ বনি ইসরাইল জাতি আল্লাহর নিয়ামাতের শুকরিয়া এবং তাঁর হুকুম পালন না করায় দীর্ঘ ৪০ বৎসর ময়দানে তীহ-এ দিকভ্রান্তের মতো ছুটোছুটি করেছিল। যেখানে তাদের প্রায় ছয় লক্ষের বিশাল বাহিনী মরে পচে গেলে শেষ পর্যন্ত তাদের সংখ্যা মাত্র বিশ জনে এসে পৌছেছিল। যা ছিল আল্লাহ তাআলার নিয়ামাত শুকরিয়া আদায় না করা এবং তাঁর হুকুম-আহকাম পালন না করার করুণ পরিণতি।

সুতরাং আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে কুরআন ও সুন্নাহ মোতাবেক জীবনযাপন করার তাওফিক দান করুন। আল্লাহর ক্রোধ ও অসন্তুষ্টি থেকে হিফাজত করুন। দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ দান করুন। আমিন।

এমএমএস/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।