হিরো আলমের অজ্ঞতা-মুর্খতা-গুণহীনতা অপরাধ নয়: তসলিমা নাসরিন

সম্প্রতি ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাছে মুচলেকা দিয়ে হিরো আলম জানিয়েছেন, জীবনেও আর বিকৃত করে নজরুল ও রবীন্দ্র সংগীত গাইবেন না। এ ঘটনার পক্ষে-বিপক্ষে অনেকেই নানা মন্তব্য করছেন। বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিনও তার কয়েকটি পোস্টে এ বিষয়ে কথা বলেছেন।
শুক্রবার (২৯ জুলাই) সকালে তসলিমা নাসরিন তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে হিরো আলমের পক্ষে একটি পোস্ট করেছেন।
জাগো নিউজের পাঠকদের জন্য তসলিমা নাসরিনের পোস্টটি তুলে ধরা হলো-
‘বাংলাদেশের হিরো আলম একটা অজ্ঞ, অশিক্ষিত, গুণহীন, ভাঁড় জাতীয় কুৎসিত লোক। সে বাংলা শব্দের উচ্চারণ জানে না, সে বাংলায় কথা বলে। সে গান জানে না, গান গায়। সে নাচতে জানে না, নাচে। সে রাজনীতি জানে না, রাজনীতি করে। সে জানেও না যে সে জানে না এসব।’
‘এই ভাঁড়টাকে পুলিশ ডেকে নিয়ে তার ভাঁড়ামো বন্ধ করতে বলেছে। বলেছে যা তুই জানিস না, তা তুই করবি না। মুর্খটা ভয় পেয়ে নাকে খত দিয়ে এসেছে, আর এসব ছাইপাঁশ করবে না।’
তসলিমা নাসরিন আরও লেখেন, ‘প্রশ্ন হলো, পুলিশের কাজ কি মানুষকে বলা যা তুই পারিস না তা তুই করবি না? সাহিত্য-সংস্কৃতির বিশুদ্ধতা বজায় রাখার ভার পুলিশকে কে দিয়েছে? যে কারও গান যে কেউ গাইতে পারে। হিরোর ছাইপাঁশ যাদের অপছন্দ তারা তার ছাইপাঁশ দেখবে না, ব্যস মিটে গেল। কপিরাইট ইস্যু যেখানে, সেখানে তার বিরুদ্ধে মামলা করবে কপিরাইটওয়ালারা। পুলিশের কাজ নয় শাসানো।’
‘পুলিশ তো দেখছি মানুষের ব্যক্তি জীবনেও এরপর নাক গলাবে। কে কার সঙ্গে প্রেম করছে, কে কার সঙ্গে শুচ্ছে, কে হিজাব পরছে না, কে দাড়ি রাখছে না, এসব নিয়ে প্রশ্ন করতে যাকে তাকে থানায় ডেকে নেবে। পুলিশের কাজ সমাজের ক্রাইম বন্ধ করা। প্রেম করা, সেক্স করা, হিজাব না পরা, দাড়ি না রাখা কোনো ক্রাইম নয়। হিরো আলমের অজ্ঞতাও কোনো ক্রাইম নয়, তার মুর্খতা, গুণহীনতাও কোনো ক্রাইম নয়’, যোগ করেন তসলিমা নাসরিন।
কেএসআর/এমএস