রাজনের ফেসবুকেও সানজিদার পরিবারের গোপন ভিডিও


প্রকাশিত: ০৩:০১ পিএম, ৩১ অক্টোবর ২০১৬

কথিত প্রেমিকার মায়ের পরকীয়ার বিষয়ে ফেসবুকে ভুয়া পোস্ট দিয়েই ক্ষান্ত হননি অভিযুক্ত মাহমুদুল হাসান রাজন। তিনি নিজের ফেসবুক পেজ থেকেও সানজিদার পরিবারের গোপনে ধারণ করা একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন। সে ভিডিও ক্লিপসও হাতে পেয়েছে তদন্ত-সংশ্লিষ্টরা।

তথ্যপ্রযুক্তি আইনে রাজনের দুই বিষয়েই তদন্ত চলছে। মামলার তদন্ত-সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। ফেসবুকে আপত্তিকর পোস্ট দেয়ার পর রাজনকে আটক করে তেজগাঁও থানা পুলিশ।

গত শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের আওতায় রাজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ভুক্তভোগী সানজিদা। ওই মামলায় কথিত ‘প্রেমিক’ রাজনের সাত দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ।

রোববার দুপুরে রাজনকে আদালতে পাঠানো হলে একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম। আজ সোমবার একদিনের রিমান্ড শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) সুজিতকুমার সাহা জাগো নিউজকে বলেন, রাজন প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে, সে নিজেই সানজিদার ফেসবুক পেজ থেকে ওই পোস্ট দিয়েছিল। তবে নেপথ্য কারণ সম্পর্কে কিছু জানায়নি সে।

এসআই সুজিত বলেন, রাজনের আপাত দৃষ্টিতে অপরাধ দুটি। তিনি সানজিদার ফেসবুক পেজ ব্যবহার করে ভুয়া পোস্ট দিয়েছেন, তা সানজিদা জানতেন না। সমসাময়িক সময়েই রাজন নিজের ফেসবুক থেকেও সানজিদার পারিবারিক একটি ভিডিও পোস্ট দেয়। ওই ভিডিওতে সানজিদার পারিবারিক কিছু কথাবার্তা ও চিত্র গোপনে ধারণ করে রাজন।

এ দুই বিষয়েই রাজন কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। ভিডিওর কথাবার্তা অস্পষ্ট। আমরা ভিডিওটির কথাবার্তা শোনার চেষ্টা করছি। দায়ের করা মামলায় তার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ আরো নিবিড়ভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সাইবার টিমের সহযোগিতা নিয়ে তদন্ত চলছে, যাতে তদন্তে দুর্বলতা না থাকে। তদন্ত শেষেই চার্জশিট দেয়া হবে বলে জানান এসআই সুজিতকুমার সাহা।

উল্লেখ্য, সানজিদার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে রাজন কর্তৃক দেয়া ওই পোস্টে উল্লেখ করা হয়, সানজিদার মা একজনের সঙ্গে পরকীয়া করছেন। সানজিদা বিষয়টি জানতে পাড়ায় তাকে তেজগাঁওয়ের একটি বাড়িতে আটকে রাখা হয়েছে। তাকে উদ্ধারের আবেদন জানানো হয়।

তবে রাজনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় সানজিদা বলেন, গত কয়েক দিন ধরে বনানীর মানসিক ও মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্র জামান ক্লিনিকে ভর্তি ছিলাম। ওই সময় আমার কাছে মোবাইল কিংবা ল্যাপটপের মতো কোনো ডিভাইস ছিল না। সেখানে থাকতেই আমার অজান্তে ফেসবুকের ওই বিতর্কিত পোস্ট দেয়া হয়।

জেইউ/এসএইচএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।