সমকালীন বিসিবি সভাপতিদের কৃতজ্ঞতা জানালেন তামিম

জাতীয় দলে কে না খেলতে চায়? সেটা যদি ক্রিকেট দল হয়, তাহলে তো কথাই নেই। যেখানে সবাই জাতীয় দলে খেলার জন্য উন্মুখ হয়ে থাকেন, সেখানে কিনা তামিম ইকবাল অবসর নিয়ে নিলেন এক থেকে দেড় বছর আগেই!
এক থেকে দেড় বছর বলার কারণ, গতকাল শুক্রবার শেষ হওয়া বিপিএলে যেভাবে খেলেছেন তামিম, তাতে অনেক ভক্তই মনে করছেন, জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক চাইলেই লাল-সবুজ জার্সি গায়ে আরও কিছুদিন খেলতে পারতেন।
তামিম যেহেতু গেল ১০ জানুয়ারি অবসর নিয়ে ফেলেছেন, তা সেসব কথা বা প্রত্যাশার এখন তেমন প্রকৃত মূল্য নেই। তবে দেশসেরা এই ওপেনারের শেষটা সুন্দর করতে চেয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ফরচুুন বরিশালকে টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন করার পর বিসিবির পক্ষ থেকে শেষ বেলায় বিদায় সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে তামিমকে।
খেলা শেষ হওয়ার পরই তামিমকে সংবর্ধনা দেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
এরপর ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে আসেন তামিম। সেখানে বিসিবির প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের সফলতম ওপেনার। সাংবাদিকরা তার কাছে জানতে চান, আরও এক দেড় বছর খেলতে পারলে কেমন লাগতো তামিমের, ভালো লাগতো?
তামিমের সহজ উত্তর, ‘হ্যাঁ ভালো লাগতো। তবে আমি আজ সম্মাননা পেয়েও খুব খুশি। আমার ভালো লাগছে।’
১৭ বছরের ক্যারিয়ারে বিসিবির সঙ্গে অম্লমধুর সম্পর্ক ছিল তামিমের। বিভিন্ন সময় বিসিবির সঙ্গে তার অনৈক্যের বিষয় সামনে এসেছে। এ সময় বিসিবির প্রেসিডেন্ট পদে দায়িত্ব পালন করেছেন পাঁচজন- আব্দুল আজিজ, সিনা ইবনে জামালি, আ হ ম মোস্তফা কামাল, নাজমুল হাসান পাপন ও ফারুক আহমেদ (বর্তমান)। তবে তাদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তামিম।
তামিম বলেন, ‘আমাদের সাথে বিসিবির সম্পর্ক সব সময়ই অম্লমধুর। তবে আমি এটাও বলবো, আমারসহ আমাদের সবাইকে বিসিবিই লালন করেছে। আমি বিসিবির এই কমিটি শুধু নয়, অবশ্যই বর্তমান বিসিবিপ্রধানকে ধন্যবাদ। পাশাপাশি যিনি তার আগে সভাপতি ছিলেন, তারও আগে বোর্ডপ্রধান ছিলেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ।’
‘তারা আমাকে একজন অভিভাবকের মতোই ১৭ বছর খেলার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। আমি তাদের সবাইকে ধন্যবাদ দিতে চাই। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এমন সম্মাননা হতে পারতো কিনা, তার চেয়ে বড় কথা এমন একটা পরিবেশে মাঠ থেকে আমি বিসিবির কাছ থেকে এমন সম্মাননা পেয়েছি। সেটা দারুণ অনুভূতি।’
এআরবি/এমএইচ/এমএস