করোনা যুদ্ধে ব্যবহার হবে ভারতের বিশ্বকাপজয়ী স্টেডিয়াম
ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে স্মরণীয় মুহূর্ত কোনটি? এমন প্রশ্নের জবাবে যে কেউ বলবেন, ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে লর্ডসে কপিল দেবের সেই ক্যাচ কিংবা ২০১১ সালের ফাইনালে মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ধোনির সেই ছক্কা।
এ দুটো মুহূর্তই ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে গেঁথে আছে আজীবনের জন্য। এর মধ্যে ধোনির ছক্কাটির স্মৃতি এখনও যেন তরতাজা সবার মনে। বেশিদিনও হয়নি সেই ম্যাচের, মাত্র ৯ বছর। সেদিন ভারতের ২৮ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটেছিল মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে।
ফলে এই স্টেডিয়ামটি এমনিতেই সবার মনে দখলে করে আছে বিশেষ জায়গা। এবার সেই ওয়াংখেড়ে ব্যবহৃত হবে এক মহৎ কাজে। করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার বানানো হবে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম কমপ্লেক্সে।
শুক্রবার ব্রিহানমুম্বাই মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের কাছ থেকে এ বিষয় নির্দেশনামূলক চিঠি পেয়েছে মুম্বাই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (এমসিএ)। তাদের বলা হয়েছে, মুম্বাইয়ের দক্ষিণ অংশের নাগরিক প্রতিনিধিদের হাতে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের সুবিধাদি বুঝিয়ে দেয়ার জন্য। যাতে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার হিসেবে ব্যবহার করা যায় এটিকে।
সেই চিঠিতে বলা হয়েছে, জরুরি ভিত্তিতে হল, হোটেল, ক্লাব, কলেজ, ডর্মিটরি, জিমখানা- এসব প্রতিষ্ঠানের সুবিধাদি হস্তান্তর করে দিতে হবে। যেখানে কোভিড-১৯ সংক্রমিত মানুষজনের সংস্পর্শে এসেছেন কিন্তু করোনার কোন উপসর্গ নেই, এমন মানুষদের রাখা হবে।
যেসব প্রতিষ্ঠানে এ চিঠি দেয়া হয়েছে, তাদের সবাইকে বাধ্যতামূলকভাবেই এতে অংশ নিতে হবে। এমসিএ তথা অন্য যে কেউ যদি দিতে রাজি না হয়, তাহলে পুলিশের মাধ্যমে জোর করে হলেও এই আদেশ মানানো হবে।
এমসিএর এক জেষ্ঠ্য কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এমন এক মহৎ উদ্যোগে অংশ না নেয়ার কোন কারণ নেই। তারা সানন্দে রাজি হয়েছে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম কমপ্লেক্স ছেড়ে দিতে। তিনি এটিও নিশ্চিত করেছেন যে, শুক্রবার মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের চিঠি গ্রহণ করেছেন তারা।
ওয়াংখেড়ে কমপ্লেক্সে মূল স্টেডিয়াম ছাড়াও রয়েছে বিসিসিআই অফিস, এমসিএ লাউঞ্জ এবং গারওয়ার ক্লাব হাউজ। এর মধ্যে এমসিএ লাউঞ্চ মূলত ব্যাংকুয়েট হল এবং গারওয়ার ক্লাব হাউজে রয়েছে ৫০টির বেশি কক্ষ। এগুলো এখন ব্যবহার করা হবে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার হিসেবে।
উল্লেখ্য, ভারতে ৮৫ হাজার ছাড়িয়েছে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। এর মধ্যে শুধু মুম্বাইয়েই শনাক্ত সবচেয়ে বেশি প্রায় ১৮ হাজার করোনা আক্রান্ত মানুষ। শুক্রবার নতুন করে পাওয়া গেছে ৯৩৩ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী।
এসএএস/এমএস