সাকিবের ক্রিকেট একাডেমি দেখে মুগ্ধ সুজন-জিয়া
সব কিছু ঠিক থাকলে এবার আবার হয়তো তিন ভেন্যুতে খেলা হবে। রাজধানী ঢাকার বাইরে বন্দর নগরী চট্টগ্রামের পাশাপাশি পূণ্যভুমি সিলেটেও বিপিএলর ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। ভেন্যু আবার দুই থেকে বেড়ে তিনে দাঁড়ালেও বিপিএলের দলগুলোর প্র্যাকটিসের সুযোগ সুবিধা বাড়েনি একচুলও। এখনো প্রতিদিন ৬ দলের অনুশীলন চলছে সেই বিসিবি একাডেমি মাঠেই।
এ নিয়ে লেখালেখি হয়েছে বিস্তর। আলোচনা-সমালোচনাও হয়েছে। একই মাঠে গাদাগাদি করে একই সময়ে না হয় কাছাকাছি সময়ে দুই থেকে তিন দলের অনুশীলন- মোটেই স্বাস্থ্য সম্মত নয়। বিশেষ করে এখনকার করোনা সংক্রমণ বৃদ্বির সময়ে তো নয়ই। রীতিমত অস্বাস্থ্যকর ও ঝুঁকিপূর্ণ।
আর পাশাপাশি আরও বড় কথা হলো, এক সঙ্গে দুই বা তার বেশি দলের অনুশীলন চলে, তাই কোন দলেরই সেন্টার উইকেটে প্র্যাকটিসের সুযোগ নেই। আর সারা মাঠ নিয়ে হাই ক্যাচিং ও ফিল্ডিংয়ের সুযোগও হয়ে পড়েছে সীমিত।
এসব কারণেই ফরচুন বরিশাল ম্যানেজমেন্ট সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত প্র্যাকটিস সেশনটা কাটবে সাকিবের মাস্কো সাকিব ক্রিকেট একাডেমিতে। রাজধানীর পূর্বাচলের ৩০০ ফুট রাস্তা পার হয়ে কাঞ্চন ব্রিজের পরপরই ১৬ বিঘা জমির ওপর মাস্কো ক্রিকেট একাডেমি।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জাগো নিউজের সাথে আলাপে খালেদ মাহমুদ সুজন জানিয়েছেন, বুধবার সকালে আমরা সাকিবের মাস্কো একাডেমিতে অনুশীলন করবো। হঠাৎ সেখানে কেন?
সুজনের ছোট্ট জবাব, ‘নাহ! বিশেষ কোন কারণ নেই। বিসিবি একাডেমিতে পুরো মাঠ নিয়ে অনুশীলন করা যাচ্ছে না। এখন পুরো মাঠ পাওয়াও যাচ্ছে না। আমরা পুরো মাঠ নিয়ে প্র্যাকটিস করতে চাই।’
যে কথা সেই কাজ। আজ সকাল ৯টার কিছুক্ষণ পরপরই বনানী শেরাটন হোটেল থেকে টিম বাস চলে গেল সোজা কুড়িল ফ্লাইওভার। মিনিট তিরিশের মধ্যে ৩০০ ফিট রোড ধরে কাঞ্চন ব্রিজ পার হয়ে সাকিবের একাডেমিতে গিয়ে থামলো ফরচুন বরিশালের টিম বাস।
একাডেমিতে পা দিয়েই সব ক্রিকেটার ও কোচিং-সাপোর্টিং স্টাফের চোখ ছানাবড়া। সবার চোখে মুখে বিস্ময়। একি কোথায় আসলাম! এত সুন্দর একাডেমি। ক্রিকেট কমপ্লেক্স! চোখে না দেখলেতো বিশ্বাসই হতো না।
হেড কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন আর সিনিয়র ক্রিকেটার জিয়াউর রহমান জিয়া মুগ্ধ। হেড কোচ সুজনের কথা, ‘ভাল তো! মাশআল্লাহ চমৎকার এক কমপ্লেক্স। পূর্ণাঙ্গ ক্রিকেট একাডেমি। একটা সুন্দর সাজানো ইনডোর আছে। বিরাট একটা মাঠও আছে। খুব সুন্দর মাঠ। প্র্যাকটিসের অনেক উইকেট আছে। ইনডোর আছে। জিম আছে। ছেলেদের থাকার হোস্টেল আছে। সব মিলিয়ে চমৎকার।’
সুজন বলেন, ‘আমরা মেইন মাঠে প্র্যাকটিস করেছি। সেন্টার উইকেটেও প্র্যাকটিস করেছি। নেটও নিয়েছি। উইকেট খুব ভাল ছিল।’
অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার জিয়ার রহমান জিয়া রীতিমত পুলকিত। জিয়ার মুগ্ধ সংলাপ, ‘বিশ্বাস করেন, খুবই সুন্দর। বিউটিফুল। কোয়ালিটি একাডেমি। কি যে চমৎকার ইনডোর। ভিউ অ্যান্ড ফ্যাসিলিটিজ বিউটিফুল। গ্রাউন্ডটা খুব সুন্দর। সেন্টারে তিনটি উইকেটও আছে এবং মাঠের ঘাসটাও খুব সুন্দর। পাশে কংক্রিটের উইকেট আছে। ন্যাচারাল টার্ফও আছে। সব কিছু মিলে খুব সুন্দর। খুব পরিপাটি।’
এআরবি/আইএইচএস