৪০-৫০ দিয়ে চলবে না, ১০০ প্লাস ইনিংস চাই: তামিম

দুই ম্যাচে একজোড়া সেঞ্চুরি ইংলিশদের। প্রথম দিন ডেভিড মালানের ১৪২ বলে ১১৪ রানের হার না মানা ইনিংসের ওপর ভর করে বাংলাদেশের ২০৯ রান টপকে ৯ বল আগে ৩ উইকেটের স্বন্তির জয় পেয়েছিলো ইংল্যান্ড। আর শুক্রবার ওপেনার জেসন রয়ের ১২৪ বলে ১৩২ রানের বড় ইনিংস এবং অধিনায়ক জস বাটলারের ব্যাট থেকে ৬৪ বলে ৭৬ রানের আক্রমনাত্মক ইনিংসে ৩২৬ রানের বড় সড় স্কোর গড়ে ইংলিশরা।
বাংলাদেশের ব্যাটারদের কেউই এমন কার্যকর ভূমিকা নিতে পারেননি। টাইগার ব্যাটারদের কারো ব্যাট থেকে দুই খেলায় একটি শতরানও আসেনি। সাকুল্যে দুই ম্যাচে একটি করে হাফ সেঞ্চুরি (প্রথম দিন ৫৮ আর আাজ সাকিব ৫৮)। এ ছাড়া অধিনায়ক তামিম (৩৫) আর অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের (৩২) মধ্য তিরিশে ফিরে যাওয়া।
ব্যাটারদের কারো লম্বা ইনিংস খেলতে না পারা কতটা ভুগিয়েছে? শেরে বাংলার তুলনামূলক স্লো-লো ও খানিক টার্নিং পিচে দুই ইংলিশ টপ অর্ডার ডেভিড মালান, জেসন রয় আর অধিনায়ক জস বাটলারের ব্যাট থেকে আসা লম্বা ইনিংস তিনটিই কি ব্যবধান গড়ে দিল?
অধিনায়ক তামিম ইকবালের কথা শুনে মনে হলো, প্রতিষ্ঠিত ব্যাটারদের কারো লম্বা ইনিংস খেলতে না পারাই একটা বড় ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে টাইগার অধিনায়কের ব্যাখ্যা, ‘আপনি কম রানে আউট হতেই পারেন। সবাই সব দিন ভাল খেলবে না। রানও করবে না প্রতিদিন; কিন্তু যারা সেট হবেন, তাদের লম্বা ইনংস খেলা খুব জরুরি।’
ইংলিশদের উদাহরন টেনে তামিম বলেন, ‘প্রথমদিন মালান আর আজ শুক্রবার জেসন রয় ও বাটলার ঠিক সেট হয়ে বড় ইনিংস খেলে দল জেতাতে বড় ভূমিকা রেখেছেন।’
কিন্তু আমরা তা পারিনি। আমাদের কেউ সেট হয়ে শতরান করতে পারেনি। আমার মনে হয় দল জেতাতে ৩০-৪০ আর পঞ্চাশ রানের ইনিংস মোটেই যথেষ্ঠ নয়। আরও বড় ১০০ প্লাস রানের ইনিংস দরকার। এই জায়গায় আমাদের ঘাটতি ছিল।’
এআরবি/আইএইচএস/এমআইএইচএস