কেন বৃষ্টির মৌসুমে এইচপি ট্রেনিং ক্যাম্প, জানালেন দুর্জয়

বিসিবির হাই পারফরমেন্স ইউনিট চেয়ারম্যান নাঈমুর রহমান দুর্জয় নিজ মুখেই বললেন, এইচপি হলো জাতীয় দলের ভবিষ্যত ক্রিকেটারদের গড়ে তোলার ক্ষেত্র। এই ক্যাম্পে ক্রিকেটারদের মানসিক শক্তি বৃদ্ধি ও কৌশলগত উন্নতির সম্ভাব্য চেষ্টা করা হয়।
কিন্তু অবাক করা সত্য হলো, এই হাই পারফরমেন্স ইউনিটের কার্যক্রম চলে বৃষ্টির সময়। সামনের অন্তত তিন মাস ভরা বৃষ্টির মৌসুম। এ সময় হাইপারফরমেন্স ইউনিটের ট্রেনিং ক্যাম্প শুরু হলো আজ বুধবার থেকে। কেন বেশিরভাগ সময় এইচপির প্রোগ্রাম বৃষ্টির সময় অনুষ্ঠিত হয়? এইচপি চেয়ারম্যান নাইমুর রহমান দুর্জয় দিয়েছেন এর জবাব।
আজ মিরপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘অনেকটা বাধ্য হয়েই এইচপির প্রোগ্রামটা বৃষ্টির মৌসুমে করতে হয়। খেলোয়াড়রা ব্যস্ত থাকে ঘরোয়া ক্রিকেট নিয়ে। তাদের জাতীয় লিগ, বিপিএল, ডিপিএল অনেক কিছু খেলতে হয়। ওই সময় কিন্তু আমরা প্রোগ্রামগুলো করতে পারি না। বিশেষ করে স্কিল ট্রেনিং করা যায় না। বৃষ্টির মৌসুমে করতে হয়। এ কারণে আমাদের আরও কিছু অবকাঠামো উন্নতি করতে হবে। বিশেষ করে ইনডোর, জিম।’
এইচপি প্রধান স্বীকার করেন, এখনো তারা করনীয়গুলো ঠিকমত করে উঠতে পারেননি। তিনি বলেন, ‘আমি এখনো মনে করি, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সবকিছু পারিনি। কারণ আমাদের অবকাঠামোতে কিছু গ্যাপ আছে। যেমন গ্রাউন্ডস, ইনডোর, জিম। বৃষ্টির মৌসুমে আমাদের অনেক সংগ্রাম করতে হয়।’
এইচপিকে জাতীয় দলের জন্য প্রস্তুতের ক্ষেত্র বলে অভিহিত করে নাঈমুর রহমান দুর্জয় বলেন, ‘আমরা সবাই জানি এইচপিটা জাতীয় দলের জন্য প্রস্তুত করার জায়গা। জাতীয় দলে গিয়ে ক্রিকেটারদের মনসিক ও টেকনিক্যাল সমস্যা মোকাবেলা করতে হয়। সেই জিনিসগুলো যেন জাতীয় দলে গিয়ে আমাদের মোকাবেলা করতে না হয়, খেলোয়াড়দের যে সুযোগ সুবিধাগুলো জাতীয় দলে খেলার আগে পাওয়া উচিত, সেগুলো দেওয়ার জন্যই এইচপি ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
এইচপি প্রধান যোগ করেন, ‘সবকিছু নির্ভর করছে খেলোয়াড়দের উপর। আমার বা আমার কমিটির কাজ হল সাপোর্টগুলো দেওয়া। ক্রিকেটারদের যে জিনিসগুলো প্রয়োজন সেগুলো সরবরাহ করা। আসলে পুরো ব্যাপারটি খেলোয়াড়দের। যারা সুযোগ কাজে লাগিয়ে উন্নতি করতে পারে, ভালোভাবে প্রস্তুত করতে পারে। যত ভালোভাবে নিজেকে প্রস্তুত করবে ততই বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য ভালো। তারাই জাতীয় দলকে প্রতিনিধিত্ব করে। এটা আমাদের কিছু না, পুরোটাই খেলোয়াড়দের।’
এআরবি/আইএইচএস/জিকেএস