আহমেদাবাদে বিশ্বকাপের ম্যাচ খেলবে না, জানিয়ে দিলো পাকিস্তান
ভারতে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বকাপে পাকিস্তানের অংশগ্রহণ নিয়ে জটিলতা ক্রমেই বাড়ছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে এশিয়া কাপের জটিলতা। বিশ্বকাপের আগে এশিয়া কাপের আয়োজক পাকিস্তান। কিন্তু দেশটিতে গিয়ে তো আর খেলবে না ভারত। এ নিয়ে পাকিস্তান ‘হাইব্রিড মডেল’ নামে একটি বিকল্প প্রস্তাব দিয়েছে। কিন্তু সেটাও মানতে রাজি নয় ভারতসহ অন্য দেশগুলো।
এমন পরিস্থিতিতে পাকিস্তান বিশ্বকাপ খেলতে যাবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। যদি ভারতে গিয়ে পাকিস্তান খেলেও, তাতে কোন কোন মাঠে খেলা তাদের জন্য নিরাপদ সেটাও আইসিসি এবং ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে জানিয়ে দিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।
যদিও পাকিস্তানের এই শর্তের মধ্যে একটা ছাড় ছিল। সেটা হচ্ছে, তারা যদি ফাইনালে ওঠে, তাহলে আহমেদাবাদের মোতেরা স্টেডিয়ামে এসে খেলবে। কিন্তু এবার পিসিবির পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ফাইনালে উঠলেও তারা আহমেদাবাদে গিয়ে খেলবে না।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, ‘বিশ্বকাপ নিয়ে সমাধান খুঁজে বের করতে যাওয়া আইসিসি চেয়ারম্যান গ্রেগ বার্কলেকে এ কথাই স্পষ্ট করে দিয়েছেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান নাজম শেঠি। বরং পিসিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিকল্প ভেন্যু হিসেবে কলকাতা, চেন্নাই এবং বেঙ্গালুরুতে খেলতে আপত্তি নেই তাদের।’
সম্প্রতি বিশ্বকাপ নিয়ে জটিলতা দূর করতে পাকিস্তান সফরে গিয়েছিলেন আইসিসি প্রেসিডেন্ট গ্রেগ বার্কলে এবং জেনারেল ম্যানেজার জিওফ অ্যালার্ডিস। বাবর আজমরা বিশ্বকাপের ম্যাচ যাতে ভারতেই খেলেন, কোনো নিরপেক্ষ স্থানে খেলার প্রস্তাব না দেয়, সে ব্যাপারও নিশ্চিত করে এসেছেন তারা।
পিসিবির একটি সূত্র জানিয়েছে, ‘নাজম শেঠি আইসিসি চেয়ারম্যান এবং জেনারেল ম্যানেজারকে এটা স্পষ্ট করেই জানিয়ে দিয়েছেন, কোনো অবস্থাতেই পাকিস্তান দল আহমেদাবাদে খেলতে যাবে না।’
ওই কর্মকর্তা আরও বলেছেন, ‘পিসিবি চেয়ারম্যান অনুরোধ করেছেন, যদি সরকার বিশ্বকাপ খেলার বিষয়ে সবুজ সংকেত দেয়, তাহলে পাকিস্তান দলের ম্যাচ যেন কলকাতা, চেন্নাই, বেঙ্গালুরুতে দেওয়া হয়।’
জানা গেছে, আহমেদাবাদে খেলার বিষয়ে পাকিস্তান দলের ক্রিকেটাররা নিরাপত্তা নিয়ে অস্বস্তিতে রয়েছেন। তাছাড়াও আইসিসির রাজস্ব বণ্টনের নীতি নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নাজম শেঠি, ‘কেন অস্ট্রেলিয়া বা ইংল্যান্ডের তুলনায় তারা লাভের কম অংশ পাবেন, সেই নিয়ে প্রশ্নও তোলেন।’
আইএইচএস/