উইকেটের আচরণ দেখে বিস্মিত রাবাদা
উপমহাদেশের মাটিতে স্পিনাররা রাজ করবে, পেসাররা ধুঁকবে-এ যেন চিরাচরিত রীতি। কিন্তু মিরপুর শেরে বাংলার উইকেটের মতিগতি বোঝা দায়। আজ টেস্টের প্রথম দিনই পড়েছে ১৬ উইকেট। উইকেটের আচরণ দেখে বিস্মিত দক্ষিণ আফ্রিকা দলের পেসার কাগিসো রাবাদাও।
মুশফিকুর রহিমের স্টাম্প উড়িয়ে টেস্টে দ্রুততম ৩০০ উইকেটের বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন রাবাদা। ১১ ওভারে মাত্র ২৬ রান দিয়ে তিনি শিকার করেছেন ৩ উইকেট। ২২ রানে ৩ উইকেট পেয়েছেন আরেক পেসার উইয়ান মুলদারও।
মিরপুরের উইকেটে পেসাররা সাহায্য পাবেন, ভাবতে পারেননি রাবাদা। ম্যাচ শেষে দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসে প্রোটিয়া পেসার বললেন, ‘আমরা আসলেই উইকেটের আচরণ দেখে বিস্মিত। আমরা ভেবেছিলাম, এটা টার্ন করবে, খুব বেশি আঘাত করতে পারব না। কিন্তু নতুন বলে তো কিছুটা মুভমেন্টও দেখা গেলো। হয়তো অনেক বেশি সুইং ছিল না, কিন্তু এই উইকেটে কিছুটা সিম মুভমেন্ট ছিল। সত্যি করে বলতে, নেটে যেমন হয় তেমনই। এখান থেকে স্পিনাররা টার্ন পেয়েছে, পেসাররাও সাহায্য পেয়েছে। যা আমাদের বিস্মিত করেছে।’
বাংলাদেশকে প্রথম ইনিংসে ১০৬ রানে গুটিয়ে দেওয়ার পর ১৪০ রান তুলতে ৬ উইকেট হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। লিড এখন ৩৪ রানের। আর কতদূর এগোতে চায় সফরকারীরা?
রাবাদা বললেন, ‘যত রান করতে পারি আর কি! এই মুহূর্তে লিড ৩৫ বা ৩৪ মনে হয়। যদি আমরা এটাকে ১০০ পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারি, তবে দারুণ হবে। আশা করি আমরা সেটা পারব।’
টেস্টের প্রথম দিনে ১৬ উইকেট পড়েছে, তার মানে বোলাররা বাড়তি সাহায্য পেয়েছে। রাবাদা মনে করেন, টেস্ট ক্রিকেটে ব্যাট-বলের ভারসাম্য থাকা উচিত।
দ্রুততম ৩০০ উইকেটের বিশ্বরেকর্ড গড়ার পর রাবাদার অনুভূতি, ‘সবাই মাইলফলকের জন্যই খেলে। অবশ্যই স্বস্তির। আমার জন্য বিশেষ মুহূর্ত। তবে আমি রেকর্ডটার ব্যাপারে জানতাম না। এটা আমাকে আরও ভালো করতে উদ্বুদ্ধ করবে।’
এমএমআর/এএসএম