বিদ্রোহ করে কি হিতে বিপরীত হলো সাবিনাদের?

নিজেদের মূল্য বোঝাতে গিয়ে কি আরও বিপাকেই পড়ে গেলেন জাতীয় নারী ফুটবল দলের সিনিয়র ফুটবলাররা? ইংলিশ কোচ পিটার বাটলারকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য বিদ্রোহ করেছিলেন তারা। বাটলারকে সরানোর সিদ্ধান্ত তো হয়ইনি, উল্টো সাবিনা খাতুনদের ক্যারিয়ার পড়ে গেছে শঙ্কায়।
বিশেষ কমিটি সপ্তাহব্যাপী যে তদন্ত করেছে, সেখানে সাবিনাসহ ১৮ ফুটবলারের করা অভিযোগ সেভাবে টেকেনি। বরং সিদ্ধান্ত হয়েছে, কোচ থাকবেন। বিদ্রোহী ফুটবলাররা অনুশীলনে যোগ না দিলে বাদ পড়বেন।
বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল ১৮ ফুটবলারকে গভীর রাতে ডেকে সেই বার্তা দিয়ে দিয়েছেন। এখন সাবিনারা পড়েছেন দোটানায়। ক্যারিয়ার বাঁচাতে হলে তাদের নতজানু হতে হবে, আর জেদ ধরে রাখলে ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যাবে।
এরই মধ্যে সাবিনাদের বাদ দিয়েই আরব আমিরাত সফরের জন্য দল তৈরির কাজ করছেন পিটার বাটলার। বাফুফেরও তাতে সমর্থন আছে।
৩০ অক্টোবর সাবিনাদের সঙ্গে চুক্তি শেষ হয়েছে বাফুফের। এরপর তিন মাস কেটে গেছে, চুক্তি হয়নি। তবে এখন হঠাৎ করেই বাফুফে মেয়েদের সাথে চুক্তি করতে উঠেপড়ে লেগেছে। কিন্তু এই চুক্তিতে আপাতত থাকছেন না বিদ্রোহী ১৮ ফুটবলার।
এখন সাবিনাদের হাতে একটাই অপশন, রাগ-ক্ষোভ-জেদকে একপাশে সরিয়ে অনুশীলনে যোগ দেওয়া। নাহলে তাদের ক্যারিয়ারে এখানেই ফুলস্টপ নেমে যেতে পারে।
আরআই/এমএমআর/জেআইএম