এমবাপে-হালান্ডের লড়াই দেখতে উন্মুখ বিশ্ব
এই প্রজন্মের দুই সেরা গোল স্কোরার আর্লিং হালান্ড ও কিলিয়ান এমবাপে মুখোমুখি হতে যাচ্ছে বিশ্বকাপে। ২০২৬ বিশ্বকাপে একই গ্রুপে পড়েছে ফ্রান্স ও নরওয়ে। গত আসরের রানার্সআপ ফ্রান্স নিয়মিতই বিশ্বকাপে খেললেও ১৯৯৮ সালের পর প্রথমবার বিশ্বকাপে নরওয়ে।
আর্লিং হালান্ডের একক প্রচেষ্টায় ২৮ বছর পর নরওয়ে বিশ্বকাপে। একাই টেনে তুলেছেন নিজের দলকে। এটি বললে মোটেও বাড়িয়ে বলা হবে না। ৮ ম্যাচে ১৬ গোলের পারফরম্যান্সই যার প্রমাণ। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে আরকেউই করতে পারেননি হালান্ডের চেয়ে বেশি গোল।
এক নরওয়েজিয়ান সাংবাদিক তো বলেই ফেলেছিলেন, ‘এখনই বলা যায় যে সে আমাদের সর্বকালের সেরা খেলোয়াড়।’
সাম্প্রতিক সময়ে গোল করার দিক দিয়ে হালান্ডকে ছুঁতে হিমশিম খান সবাই। তবে যিনি হালান্ডের মতোই গোল করেন তিনি হলেন – কিলিয়ান এমবাপে। দুই গোলমেশিন এবার একই গ্রুপে পড়েছে বিশ্বকাপে। ‘আই’ গ্রুপের ম্যাচে একে-অপরের বিপক্ষে মাঠে নামবেন তারা। গ্রুপের অন্য দল সেনেগাল আর একটি আসবে প্লে-অফ থেকে।
প্রিমিয়ার লিগ ও লা লিগার দুই গোলমেশিনের লড়াই নিয়ে মুখিয়ে আছে সবাই। আন্তর্জাতিক ফুটবলে প্রথমবারের মতো মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন তারা। মাত্র ২৬ বছর বয়সেই এমবাপে মাত্র ২ গোল দূরে আছেন ফ্রান্সের সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়া থেকে। চলমান মৌসুমে এমবাপে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে ১৫ ম্যাচে ১৬ গোল করেছেন তিনি।
এদিকে, হালান্ড ইতোমধ্যেই নরওয়ের সর্বোচ্চ গোলদাতা এবং দ্বিতীয় স্থানে থাকা খেলোয়াড়ের চেয়ে অবিশ্বাস্য ২২ গোল এগিয়ে। চলতি মৌসুমে সিটির হয়ে ১৪ ম্যাচে ১৫ গোল করেছেন।
ফ্রান্স ও নরওয়ের বিশ্বকাপ ম্যাচটি মাঠে গড়াতে বাকি এখনও প্রায় ৭ মাস। এর আগেই আলোচনার জন্ম নিয়েছে ড্রয়ের কিছুক্ষণের মধ্যেই। উত্তেজনা ছুঁয়ে গেছে ফ্রান্সের কোচ দিদিয়ের দেশমকেও।
তিনি বলেন, ‘এটা হবে এক দারুণ দ্বৈরথ। কিলিয়ান আর হালান্ড, দুজনই বিশ্বজুড়ে স্বীকৃত খেলোয়াড় এবং গোলদাতার তালিকায় সেরা হওয়ার দৌড়ে তারা দুজনই থাকবে।’
আইএন