চার বছর আগেই মিয়ামিতে ফ্ল্যাট কিনে রেখেছিলেন মেসি!

ক্যারিয়ারের শেষ দিকে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে খেলবেন, সে ইচ্ছা একবার প্রকাশ করেছিলেন মেসি। তবে, সেটা যে এত তাড়াতাড়ি হবে, তা হয়তো ভাবেননি। এবার বাস্তবতা সামনে চলে এলো। ইউরোপ ছেড়ে আমেরিকায় পাড়ি জমাচ্ছেন মেসি।
তবে আমেরিকায় পাড়ি জমানোর আগে সেখানে আগে থেকেই নিজের থাকার ব্যবস্থা করে রেখেছেন আর্জেন্টাইন তারকা। ২০১৯ সালেই মিয়ামিতে একটি অভিজাত বহুতল ভবনে ফ্ল্যাট কিনে রেখেছেন মেসি।
মায়ামির বিলাসবহুল পোর্শে ডিজাইন টাওয়ারে থাকবেন মেসি। ২০১৯ সালেই এই ভবনের ৬০ তলায় কেনা ফ্ল্যাটটিতে অবশেষে পরিবার নিয়ে স্থায়ী হতে যাচ্ছে আর্জেন্টিনার অধিনায়ক। তার ফ্ল্যাটটির দাম (৯ মিলিয়ন ডলার) বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৯৭ কোটি ৩৭ লাখ টাকারও বেশি। বাড়িটি সমুদ্র সৈকত থেকে ঢিলছোড়া দূরত্বে। মেসির ফ্ল্যাট থেকে দেখা যাবে মিয়ামির পুরো সৈকত।
পোর্শে ডিজাইন টাওয়ারের একটি বিশেষত্ব রয়েছে। তা হল গাড়ির জন্য রয়েছে বিশেষ লিফ্ট। প্রতিটি ফ্ল্যাটের সঙ্গে রয়েছে গাড়ি রাখার আলাদা জায়গা। লিফ্টে করে গাড়ি তুলে নিয়ে যাওয়া যাবে নিজের ফ্ল্যাটে। অর্থাৎ, মেসি তার গাড়ি রাখতে পারবেন ফ্ল্যাটের মধ্যেই। ফ্ল্যাট থেকেই আবার গাড়িতে উঠে রাস্তায় বেরিয়ে যেতে পারবেন।
জিমসহ জীবনযাপনের সমস্ত অত্যাধুনিক সুবিধা রয়েছে মিয়ামির এই বহুতল ভবনে। মেসির নতুন বাসস্থানের তিনটি ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। সৌদি আরবে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর বাসভবনের সঙ্গেও তুলনা শুরু করেছেন ফুটবলপ্রেমীদের একাংশ।
ইন্টার মিয়ামি সূত্রে খবর, জুন মাসের শেষ দিকে পরিবার নিয়ে মিয়ামিতে চলে যাবেন মেসি। আগামী ২১ জুলাই ক্রুজ আজুলের বিরুদ্ধে মিয়ামির হয়ে অভিষেক হতে পারে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়কের। ফুটবলপ্রেমিরা মনে করছেন, মেসি খেললে আমেরিকার লিগের আকর্ষণ বাড়বে।
পিএসজি ছেড়ে মেসির ইচ্ছা ছিল বার্সেলোনায় যাওয়ার। এরই মধ্যে সৌদি ক্লাব আল হিলালও ১ বিলিয়ন ডলারের প্রস্তাব নিয়ে হাজির ছিল। কিন্তু সব ছেড়ে মেসি সিদ্ধান্ত নেন মিয়ামিতে যাওয়ার।
আইএইচএস/