নিরাপত্তার আশ্বাস পেলো না পাকিস্তান


প্রকাশিত: ০৩:১৭ পিএম, ০৮ মার্চ ২০১৬

পাকিস্তানের বিশ্বকাপ সফর নিয়ে অনিশ্চয়তার মেঘ কাটল না তাদের ভারতে পৌঁছনোর দু’দিন আগেও। শাহিদ আফ্রিদিদের ভারতে আসার কথা বুধবার রাতে। কলকাতাতেই প্রথম পা রাখার কথা পাকিস্তান দলের ক্রিকেটারদের। তারআগে সোমবার বিকেলে ওয়াঘা সীমান্ত পেরিয়ে আটারি হয়ে ধর্মশালায় ঢুকে পড়লেন দুই পাকিস্তানি প্রতিনিধি।

তাদের দলের জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা কতটা কড়া, তা খতিয়ে দেখতে এদিন চলে এলেন পাক সরকারের গোয়েন্দা বিভাগের কর্তা উসমান আনোয়ার ও পিসিবির কর্মকর্তা আজম খান। দিল্লি থেকে পাকিস্তানি হাই কমিশনের এক কর্মকর্তাও এদের সঙ্গে যোগ দেন বলে খবরে প্রকাশ। তাদের রিপোর্টের উপরই নির্ভর করছে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের ভারতে আসা বা না আসা।

জানা গেছে, হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বীরভদ্র সিং এই প্রতিনিধি দলকেও জানিয়ে দিয়েছেন, তারা পাক দলকে যথেষ্ট নিরাপত্তা দিতে পারবেন না। মঙ্গলবার এই দুই পাক প্রতিনিধি দিল্লিতে যাচ্ছেন। ভারতীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এক বৈঠকে তারা থাকবেন। তারপরই পাকিস্তান সরকারকে তাদের রিপোর্ট জমা দেবেন।

কলকাতাতেই পাকিস্তানের প্রথম আসার কথা এবং এখানে পাক দলের দু’টি প্রস্তুতি ম্যাচ ও মূলপর্বের প্রথম ম্যাচটি খেলার কথা। তাই সিএবি কর্তারাও এ নিয়ে চিন্তায়। বিসিসিআই থেকে অবশ্য সোমবার পর্যন্ত পাকিস্তানের না আসার বা দেরিতে আসার কোনও ইঙ্গিত এসে পৌঁছয়নি সিএবি-তে। কলকাতা পুলিশের কাছেও তেমন কোনও খবর নেই বলে এ দিন পুলিশ সূত্র জানায়।

ভারতীয় বোর্ডের পক্ষ থেকে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের কড়া নিরাপত্তা দেওয়ার আশ্বাস দেয়া হলেও পাক ক্রিকেট ভক্তদের ধর্মশালা ম্যাচের জন্য আড়াইশর বেশি ভিসা দেওয়া হবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত সরকার। তাও টিকিট ও তাদের হোটেল ব্যবস্থার প্রমাণ দেখাতে পারলে, তবেই পাকিস্তানিদের ভিসা দেওয়া হবে বলে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়ে দিয়েছে।

ভারত সরকারের এই সিদ্ধান্তও পাকিস্তানকে খুশি করতে পারবে কি না, তাও দেখার বিষয়। এমনিতেই পাক বোর্ড প্রধান শাহরিয়ার বলেছেন, ‘হিমাচল সরকারের মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, তারা নিরাপত্তা দিতে পারবেন না। তা হলে বুঝুন আমাদের ক্রিকেটারদের জন্য কত বড় ঝুঁকি হয়ে যাচ্ছে? আমাদের প্রতিনিধিরা কী রিপোর্ট দেন, তার উপরেই নির্ভর করছে সব কিছু।’

আইএইচএস/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।