আইনের আওতায় ফেসবুক
গ্রাহক নিজেদের মধ্যে যে বার্তা লেনদেন করেন, তা পর্যবেক্ষণ করছে শীর্ষ সামাজিক যোগাযোগ সাইট ফেসবুক। গত বছরের এক মামলায় এমনটাই দাবি করেন ম্যাথিউ ক্যাম্পবেল নামে এক ফেসবুক গ্রাহক। তার মামলার ভিত্তিতে সম্প্রতি ক্যালিফোর্নিয়ার এক বিচারক জানান, এ ধরনের প্রবণতার জন্য ফেসবুককে আইনের আওতায় আসতে হবে। খবর রয়টার্স।
ফেসবুকের বিরুদ্ধে মার্কিন সরকারের বেশকিছু মামলাও আদালতে চলমান ছিল। সম্প্রতি অকল্যান্ডের জেলা জজ ফাইলিস হ্যামিলটন মার্কিন সরকারের মামলা থেকে ফেসবুককে রেহাই দিলেও ম্যাথিউ ক্যাম্পবেলের করা মামলার জন্য তাদের বিচারের সম্মুখীন হতে হবে বলে জানান।
এর আগে ২০১২ সালের অক্টোবরে ফেসবুক গ্রাহক বার্তা পর্যবেক্ষণ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেয়। কিন্তু এখনো প্রতিষ্ঠানটির এ প্রবণতা বিদ্যমান রয়েছে বলে দাবি করেন ম্যাথিউ ক্যাম্পবেল। এ বিষয়ে ফেসবুক জানায়, তারা ভাইরাস পরীক্ষা করতে গ্রাহক বার্তা পর্যবেক্ষণ করছে। কিন্তু ক্যম্পবেলের দাবি অনুযায়ী, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন প্রচারের উদ্দেশ্যে ফেসবুক গ্রাহক বার্তা পর্যবেক্ষণ করছে। গ্রাহকরা কোনো কোনো পেজে লাইক দিচ্ছেন এবং বার্তার মাধ্যমে কোনো কোনো ওয়েব অ্যাড্রেস লেনদেন করছেন তা পর্যবেক্ষণ করছে মার্কিন সাইটটি। এর মাধ্যমে তারা গ্রাহকদের আগ্রহের বিষয় সম্পর্কে জানতে পারছে এবং অঞ্চলভিত্তিক বিজ্ঞাপন প্রচার করছে।
কিন্তু এ ধরনের প্রবণতার কারণে গ্রাহকের ব্যক্তি গোপনীয়তা বলতে কিছু থাকছে না। এ কারণে প্রতিষ্ঠানটিকে বড় অঙ্কের জরিমানার পাশাপাশি গ্রাহক বার্তা পর্যবেক্ষণের প্রবণতা পরিবর্তনে সতর্ক করে দেয়া হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।