অনলাইনে অর্ডার দিলে সবকিছু পাবেন ঘরে

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:৪১ পিএম, ২৪ মার্চ ২০২০

করোনা মোকাবেলায় সতর্কতার অংশ হিসেবে সবাইকে ঘরে অবস্থানের পরামর্শ দিচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এমন প্রেক্ষাপটে আপনার বাসায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পৌঁছাবে ইভ্যালি এক্সপ্রেস শপ।

এক বিজ্ঞপ্তিতে ইভ্যালি জানিয়েছে, বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য গ্রাহকেরা যেন ঘরে বসেই পেতে পারেন তার জন্য ‘ইভ্যালি এক্সপ্রেস শপ’ শিরোনামে নতুন একটি ক্যাম্পেইন চালু করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাজধানীর ১৩টি এলাকার জন্য দুটি করে মোট ২৬টি এক্সপ্রেস শপ নিয়ে চালু হয়েছে এই কার্যক্রম। এলাকাগুলো হলো- মিরপুর, মোহাম্মদপুর, বাড্ডা, পুরান ঢাকা, ধানমন্ডি, গুলশান, যাত্রাবাড়ী, মতিঝিল, রামপুরা, শাহবাগ, তেজগাঁও, উত্তরা এবং বনানী। ভার্চুয়াল এসব এক্সপ্রেস শপে গ্রাহকরা তাদের পণ্য অর্ডার করার পর সর্বনিম্ন এক ঘণ্টা থেকে ক্ষেত্রবিশেষে সর্বোচ্চ ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে নিজেদের বাড়িতেই সরবরাহ পাবেন সেসব পণ্যের।

ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাসেল বলেন, আমাদের প্ল্যাটফর্মে ১৮ লাখের ওপর গ্রাহক এবং প্রায় ২০ হাজার বিক্রেতা বা সেলার আছে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক সেলার মুদি আইটেম বা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি করেন। আবার এধরনের পণ্য উৎপাদন এবং খুচরা বাজারে সরবরাহ করে এমন কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোও আছে। করোনার এই সংকটকালীন মুহুর্তে আমাদের বিশাল এই রিসোর্সকে জনগণের বৃহত্তর স্বার্থে কাজে লাগাতে চাই। বিভিন্ন মহল্লায় বা এলাকায় যারা এধরনের পণ্যের দোকান পরিচালনা করেন তারা ইভ্যালি এক্সপ্রেস শপে যুক্ত হতে পারেন। যেসব গ্রাহক আমাদের প্ল্যাটফর্মের সাথে যুক্ত হননি তারাও ইভ্যালিতে যুক্ত হয়ে পণ্য অনলাইনে অর্ডার করে ঘরে বসে বুঝে পাওয়ার এই সেবা নিতে পারেন।

রাসেল আরও বলেন, আমরা চাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষের পরামর্শ মেনে সবাই ঘরে থাকুক। এই সময়ে আমাদের সরকার একা অনেক কিছুই করতে পারবে না। আমাদের ক্ষুদ্র অবস্থান থেকে আমরা সেই জায়গায় অবদান রাখতে চাই। সব স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনেই গ্রাহকদের বাসায় দ্রুততার সাথে আমরা পণ্য পৌঁছে দেব।

ইভ্যালি এক্সপ্রেস শপের কার্যক্রম সম্পর্কে মোহাম্মদ রাসেল বলেন, গ্রাহক তার অবস্থান থেকে অনলাইনে অর্ডার করবে। গ্রাহকদের নিকটস্থ দোকানগুলো আমাদের ইভ্যালিতে থাকবে। যার দোকানের অনুকূলে অর্ডার এসেছে সেই সেলার সর্বনিম্ন এক ঘণ্টা ও ক্ষেত্রবিশেষে সর্বোচ্চ ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পণ্য গ্রাহকের কাছে সরবরাহ করবেন। এক্ষেত্রে বাজার মূল্যের বিবেচনায় পণ্যের দাম ইভ্যালি নির্ধারণ করে দেবে, যা কোনভাবেই বাজার মূল্য থেকে বেশি হবে না। সব পণ্যের দায়িত্ব সেলারের। তবে সেলারদের সবধরনের কারিগরি সহায়তা দেবে ইভ্যালি। যেমন প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার এবং অন্যান্য লজিস্টিক সহায়তা প্রয়োজন হলে ইভ্যালি প্রদান করবে। একই সাথে সেলারদের উৎসাহিত করতে তাদের মোট অর্ডারের ওপর ৫ শতাংশ হারে বোনাসও দেবে ইভ্যালি।

এএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।