বিশ্বের যে ৪ শহরে বসবাস করতে চাইলেই পাবেন জমি ও টাকা

ভ্রমণ ডেস্ক
ভ্রমণ ডেস্ক ভ্রমণ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:৪৩ পিএম, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

বিশ্বভ্রমণের স্বপ্ন দেখেন কমবেশি সবাই। তবে সবার তো আর সামর্থ্য নেই এক দেশ থেকে অন্য দেশে ঘুরে বেড়ানো। আবার অনেকে নিজ দেশ ছেড়ে বিদেশে পাড়ি জমাতে চান উন্নত জীবিকার খোঁজে। আপনিও যদি বিশ্বভ্রমণ ও উন্নত দেশে গিয়ে বসবাসের স্বপ্ন দেখেন, তাহলে যেতে পারেন ৪ শহরে।

আরও পড়ুন: নিঝুম দ্বীপ ভ্রমণে ঘুরে আসতে ভুলবেন না আরও ৩ স্পট

জানলে অবাক হবেন, পৃথিবীতে এমন কিছু দেশ আছে যেখানে বসবাসের জন্য আপনাকে টাকা দিতে হবে না, বরং উল্টো ওই দেশ ও শহরের কর্তৃপক্ষই আপনাকে বাসস্থান ও টাকার ব্যবস্থা করে দেবেন। অবাক করা বিষয় হলেও সত্যিই যে, এমনটি সম্ভব কয়েকটি শহরে। রইলো তালিকা-

মাইনজা, ইতালি

২০১১ সালে ইতালির গাঙ্গী গ্রামে ওয়ান ডলার হাউস চালু হয়। এর আওতায় ৫ হাজার ৮০০ বাসিন্দা শহরে বসবাস শুরু করেন। তবে ধীরে ধীরে গাঙ্গী গ্রামের জনসংখ্যা কমছে।

দেশের গ্রামীণ সংস্কৃতি যাতে বিলুপ্ত হয়ে না যায়, এজন্য গাঙ্গি থেকে শুরু করে, সারাদেশে ছোট প্রত্যন্ত গ্রামগুলো তাদের জনসংখ্যা বাড়ানোর জন্য বাড়িগুলো ১ ডলারে (১০৪ টাকা) বিক্রি করতে শুরু করেছে।

আরও পড়ুন: সঙ্গীকে চুম্বন করা নিষেধ যেসব দেশে

এখন এই শহর বসবাসের জন্য খুবই সস্তা হয়ে গেছে, এক সময় এখানে কাজ ও শিক্ষা সংক্রান্ত জিনিসের অভাবে বসবাস করা কঠিন ছিল। তবে এখন বিন্দাস বসবাস করতে পারবেন শহরটিতে।

পাইপস্টোন, কানাডা

কানাডার ম্যানিটোবায় জমি ১০ ডলারে দেওয়া হচ্ছে। যারা আগ্রহী তাদের প্রথমে ১ হাজার ডলার পরিশোধ করতে হবে ও চুক্তিতে সই করতে হবে। এরপর তারা জমি নিতে পারবেন।

আপনি যদি সেখানে অফারের অধীনে একটি বাড়ি তৈরি করতে চান, তাহলে তাদেরকে ৯৯০ ইউএস ডলার ফেরত দিতে হবে।

আরও পড়ুন: প্রিয়জনকে নিয়ে একদিনেই ঘুরে আসুন পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকতে

কানাডিয়ান সিটিজেনশিপ অ্যান্ড ইমিগ্রেশন রিসোর্স সেন্টার নিউ ব্রান্সউইকের এক দম্পতি এই প্রজেক্ট শুরু করেন নতুন শহর তৈরির লক্ষ্যে। এজন্য তারা তাদের বাড়ির চারপাশে একটি নতুন শহর তৈরির জন্য তার ১৩০ একর জমির অংশ দিতে শুরু করেন।

স্কটিশ দ্বীপপুঞ্জ

স্কটল্যান্ড প্রায় ১০০০ দ্বীপের আবাসস্থল। এখানকার সংস্কৃতিগুলো স্কটিশ সংস্কৃতি ও ইতিহাসের অংশ। তবে দুঃখজনকভাবে এখানকার বিভিন্ন সম্প্রদায়ের জনসংখ্যা দিন দিন কমছে।

এ কারণে সরকার সেই বিচ্ছিন্ন শহর ও বসতিগুলোকে পুনরুজ্জীবিত করতে ২০১৯ সালে জাতীয় দ্বীপ প্রকল্প চালু করে।

আরও পড়ুন: রানিকে বাঁচাতে নিজের গলা কেটে আত্মহত্যা করেন রাজা

২০২৬ সালের মধ্যে এখানে বসবাস করতে চাওয়া ১০০ পরিবারকে স্কটিশ কর্তৃপক্ষ ৪৯ লাখ ৫২ হাজার ৬৫০ ইউরো দেওয়ার জন্য একটি বন্ড ফান্ড চালু করেছে। যার মূল্য অর্ধ কোটিরও বেশি টাকা।

মানকাটো, কানসাস

মানকাটোর জনসংখ্যা তিন হাজার থেকে বর্তমানে ৯০০ তে কমে দাড়িয়েছে। আপনি যদি গ্রামীণ জায়গায পছন্দ করেন তাহলে সহজেই মানকাটোতে বসবাস শুরু করতে পারবেন।

সূত্র: প্রেসওয়ার ১৮

জেএমএস/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।