ছুটির দিনে ঘুরে আসুন ঐতিহাসিক পানাম সিটিতে

ভ্রমণ ডেস্ক
ভ্রমণ ডেস্ক ভ্রমণ ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:২২ এএম, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩

ঢাকার খুব কাছেই ২৭ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে অবস্থিত একটি ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন শহরের নাম পানাম নগর। পৃথিবীর ১০০টি ধ্বংসপ্রায় ঐতিহাসিক শহরের একটি।

এটি অনেকের কাছে ‘হারানো নগরী’ নামেও পরিচিত। সোনারগাঁওয়ে ২০ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে গড়ে ওঠে নগরটি। বড় নগর, খাস নগর, পানাম নগর- প্রাচীন সোনারগাঁওয়ের এই তিন নগরের মধ্যে পানাম ছিলো সবচেয়ে আকর্ষণীয় নগর। পানাম নগরীর সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাংলার বার ভূঁইয়াদের ইতিহাস।

আরও পড়ুন: ১০ হাজার কেজি সোনায় তৈরি বিশ্বের সবচেয়ে দামি প্রমোদতরীটি কার?

সোনালি ইতিহাসের সাক্ষী পানাম নগরী প্রতিনিয়ত দেশি-বিদেশি পর্যটকদের মুগ্ধ করছে। দিন দিন ভ্রমণপিপাসুদের আকর্ষণের প্রতীক হয়ে উঠছে এই নগরের আশপাশের সর্দার বাড়ি, ঈশা খাঁর তোরণ, নীলকুঠি, বণিক বসতি, ঠাকুর বাড়ি ও পানাম নগর সেতু।

বর্তমানে পানাম নগরের দু’ধারে ঔপনিবেশিক আমলের মোট ৫২টি স্থাপনা রয়েছে। এর উত্তরদিকে ৩১টি ও দক্ষিণদিকে ২১টি স্থাপনা অবস্থিত। স্থাপনাগুলোর স্থাপত্যে ইউরোপীয় শিল্পরীতির সঙ্গে মোঘল শিল্পরীতির মিশ্রণ দেখতে পাওয়া যায়।

নগরীতে এখনও দেখা যায় ৪০০ বছরের পুরোরনো মঠ-বাড়ি। এর পশ্চিমে ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানির বাণিজ্য কুঠি ‘নীলকুঠি’ রয়েছে। আছে পোদ্দার বাড়ি, কাশিনাথের বাড়ি, সোনারগাঁয়ের একমাত্র আর্টগ্যালারিসহ নানা প্রাচীন ভবন। পানামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে পঙ্খীরাজ খাল।

আরও পড়ুন: একই দেশের অর্ধেক অংশে যখন দিন, বাকি অর্ধেকে রাত

পানাম নগরীর নকশা নির্মাণ করা হয়েছে বেশ নিখুঁত আকারে। নগরীর প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই রয়েছে কূপসহ আবাস উপযোগী নিদর্শন। পানি সরবরাহের জন্য দুপাশে খাল ও পুকুর আছে।

এখানে থাকার বাসস্থান ছাড়াও আছে উপাসনালয়, গোসলখানা, পান্থশালা, দরবার কক্ষ। এ ছাড়াও আছে ৪০০ বছরের পুরোনো টাঁকশাল বাড়ি। সোনারগাঁ লোকশিল্প জাদুঘর থেকে পশ্চিম দিকে আছে গোয়ালদী হোসেন শাহী মসজিদ।

মোগড়াপাড়া চৌরাস্তা দিয়ে একটু দক্ষিণ দিকে গেলে দেখা যায় আরও কিছু ইমারত, বারো আউলিয়ার মাজার, হযরত শাহ ইব্রাহিম দানিশ মন্দা ও তার বংশধরদের মাজার, দমদম গ্রামে অবস্থিত দমদমদুর্গ ইত্যাদি।

আরও পড়ুন: ৮৬০ বছরেও মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে গাছটি

ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির নীলচাষের নির্মম ইতিহাসের নীরব সাক্ষী পানামের নীলকুঠি। পানাম পুলের কাছে দুলালপুর সড়কের পাশেই এর অবস্থান। এছাড়া আমিনপুর ও দুলালপুর গ্রামের সংযোগ রক্ষাকারী পানাম পুলটি পঙ্খীরাজ খালের ওপর ১৭ শতকে নির্মিত হয়। তিনটি খিলানের উপর পুলটি স্থাপিত।

তাছাড়া নগরীর আশপাশে ছড়িয়ে আছে ঈসা খাঁ ও তাঁর ছেলে মুসা খাঁর প্রমোদ ভবন, ফতেহ শাহের মসজিদ, সোনাকান্দা দুর্গ, পঞ্চপীরের মাজার, কদম রসুল, চিলেকোঠাসহ বহু পুরাতাত্ত্বিক গুরুত্ববহ স্থাপনা।

জেএমএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।