বেনাপোলে শিক্ষকের বিরুদ্ধে সার্টিফিকেট জালিয়াতির অভিযোগ
যশোরের শার্শা পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. বদিউজ্জামান খানের বিরুদ্ধে সার্টিফিকেট জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। দীর্ঘদিন যাবত জাল সার্টিফিকেট দিয়ে চাকরি করে আসলেও কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আমলে নিচ্ছেন না।
জানা গেছে, বদিউজ্জামান ২০১০ সালের ১ ডিসেম্বর ২য় শ্রেণির সার্টিফিকেট দাখিল করে শার্শা পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (ইংরেজি) পদে যোগদান করেন। তিনি অনার্স ১ম বর্ষে পার্ট-১ এ নম্বর পান ৩৯, পার্ট-২ এ পান ৩৩ এবং ২য় বর্ষে পার্ট-৩ এ মোট ৩৮ নম্বর পেয়ে ৩য় শ্রেণিতে পাস করেন। পরীক্ষার রেজাল্ট ভালো করার জন্য তিনি আবার মানোন্নয়ন পরীক্ষা দেন। কিন্তু জাতীয় বিশ্ব বিদ্যালয়ের সেই সার্টিফিকেটে লেখা আছে নো আইএমপি। পরে যশোর সরকারি এমএম কলেজের এক অফিস সহকারীর মাধ্যমে বিশেষ ব্যবস্থায় প্রত্যেক পার্টে ১০ নম্বর যোগ দেখিয়ে ২য় শ্রেণির সার্টিফিকেট সংগ্রহ করেন। কিন্তু জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় গাজীপুরের ফলাফল সংরক্ষণ বিভাগে তার ফলাফল ৩য় শ্রেণিই রয়ে গেছে। তার এ সার্টিফিকেট জালিয়াতির ঘটনা জানাজানি হলে এলাকায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে এই অভিযোগও উঠছে যে তিনি উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএসসি শাখার সমন্ময়কারী হিসেবে দায়িত্বে থাকার সময় প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে ৩০০-৫০০ টাকা নিয়ে নকল সরবরাহ করেছেন।
সার্টিফিকেট জালিয়াতির ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক বদিউজ্জমান খান বলেন, আমি অনার্সে ৩য় শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়েছিলাম। পরে মানোন্নয়ন পরীক্ষা দিয়ে ২য় শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হই এবং যশোর সরকারি এমএম কলেজ থেকে সার্টিফিকেট সংগ্রহ করেছি। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেটে কি আছে সেটা আমার জানা নেই। আমি দীর্ঘদিন এভাবেই চাকরি করে আসছি।
এ ব্যাপারে শার্শা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার গোপাল চন্দ্র মজুমদার জাগো নিউজকে বলেন, এসএসসি, এইচএসসি ও অনার্সের যে কোনো একটিতে ৩য় শ্রেণির একটি সার্টিফিকেট থাকলে সে সরকারি চাকরি করতে পারবে। কিন্তু যদি তার সার্টিফিকেটে তথ্য জালিয়াতির ঘটনা থাকে তাহলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তদন্ত করে সরকারি বিধি মোতাবেক ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।
শার্শা পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, বদিউজ্জামানের পরে আমি এ স্কুলে এসেছি। তার সার্টিফিকেটে জালিয়াতি আছে কি না আমার জানা নেই। যদি ঘটনা সত্য হয় তাহলে স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিন ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান বিষয়টি দেখবেন। আমি এসব ব্যাপারে কিছুই বলতে পারব না।
জামাল হোসেন/এফএ/এমএএস/পিআর