সাবেক সেনা কর্মকর্তা হাসিনুর
দেশ এগিয়ে নিতে ইতিহাসের সত্য সামনে আনতে হবে
অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাসিনুর রহমান অভিযোগ করে বলেছেন, বহু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা, ব্যক্তিত্ব ও আন্দোলন নিয়ে প্রজন্মের সামনে সঠিক তথ্য উপস্থাপন করা হয়নি। তার মতে, সত্য ইতিহাস জানলে দেশ আরও স্বাধীনচেতা ও স্বচ্ছ রাজনৈতিক সংস্কৃতির দিকে এগোতে পারবে।
তিনি বলেন, সবাই মিলেই দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবো। দুর্নীতি ও বিভাজনমুক্ত একটি বাংলাদেশই আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত।
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক আলোচনায় এসব মন্তব্য করেন তিনি। আলোচনা সভার আয়োজন করে মঞ্চ ২৪ ও জাগ্রত জুলাই।
মঞ্চ ২৪ নেতা ফাহিমের পরিচালনায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল আসাদুজ্জামান, অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাফিজুর রহমান, অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফেরদৌস আজিজ, অবসরপ্রাপ্ত মেজর শাহিন, ডাকসু নেতা আবু জুবায়ের প্রমুখ।
এসময় কর্নেল হাসিনুর রহমান বলেন, দেশের সমস্যাগুলোর মূল সমাধান হলো সুশাসন, স্বচ্ছতা ও রাজনৈতিক সংস্কৃতি পরিবর্তন। তিনি বলেন, দেশের উন্নয়ন তখনই সম্ভব, যখন সব নাগরিক—মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, পাহাড়ি-বাঙালি মিলেমিশে একসঙ্গে এগিয়ে যাবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসের অনেক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় সঠিকভাবে পাঠ্যপুস্তকে উপস্থাপিত হয়নি।
১৮৫৭-এর সিপাহী বিদ্রোহ থেকে শুরু করে মুসলিম শাসনামল, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, বঙ্গভঙ্গ, পাকিস্তান পর্ব এবং ১৯৭১—এসব বিষয়ে তিনি বিকল্প ব্যাখ্যার কথা উল্লেখ করেন।
তার মতে, ইতিহাসে বহু নেতার ভূমিকা উপেক্ষিত হয়েছে এবং রাজনৈতিকভাবে বিভিন্ন সময়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় জাতিকে আরও ঐক্যবদ্ধ, নৈতিক ও আত্মমর্যাদাবান হতে হবে।
তিনি অতীতের রাজনৈতিক ভুল, দুর্নীতি এবং গোপন চুক্তির কথাও উল্লেখ করেন এবং মনে করেন যে দেশ পরিচালনায় স্বচ্ছতা ও দেশপ্রেমকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন।
অবসরপ্রাপ্ত মেজর শাহিন বলেন, অতীতে দেশের সম্পদ লুটপাট, মানবাধিকার হরণ ও বিদেশি আধিপত্যকে প্রশ্রয় দিয়ে দেশকে দুরবস্থার দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছিল। দেশের ১৭ কোটি মানুষই জাতির শক্তি ও সম্পদ—যার শ্রম, প্রবাসী আয়ের অবদান এবং কৃষকদের পরিশ্রমে বাংলাদেশ আজ বহুক্ষেত্রে আত্মনির্ভরশীল।
ইএআর/এমআইএইচএস