বরগুনার ৩৪ ইউনিয়নে নির্বাচিত হলেন যারা
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে বরগুনার ৩৫টি ইউনিয়নের মধ্যে ২৪টিতে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী। বিএনপির প্রার্থী জয়ী হয়েছেন দুইটি ইউনিয়নে। আটটি ইউনিয়নে নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী।
বরগুনার একটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন স্থগিত রয়েছেন।
যে ইউনিয়নে যারা নির্বাচিত হয়েছেন
• বরগুনা সদর উপজেলা
এ উপজেলার দশটি ইউনিয়নের মধ্যে ছয়টিতে আওয়ামী লীগ, একটিতে বিএনপি এবং তিনটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।
বদরখালী: এই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের শরীফ ইলিয়াস উদ্দীন আহমেদ ৭ হাজার ৩৪৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মতিউর রহমান (আনারস প্রতীক) পেয়েছেন ৬ হাজার ৮১৩ ভোট।
গেীরিচন্না: এই ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মনিরুল ইসলাম (চশমা প্রতীক) ৭ হাজার ৬২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের মিলন চন্দ্র বিশ্বাস নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ৫০৯ ভোট।
ফুলঝুড়ি: এই ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রাথী গোলাম কিবরিয়া (আনারস প্রতীক) ৪ হাজার ২৬১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের মো. জুয়েল খাঁন পেয়েছেন ৩ হাজার ৭৭৮ ভোট।
কেওড়াবুনিয়া: এই ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আবু হানিফ মাদবর (মটরসাইকেল প্রতীক) ৪ হাজার ৩১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের মো. আরিফুর রহমান পেয়েছেন ৩ হাজার ৮১৬ ভোট।
আয়লা-পাতাকাটা: এই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী খন্দকার আশশাকুর রহমান বিজয়ী হয়েছেন।
বুড়িরচর: এই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. ছিদ্দিকুর রহমান বিজয়ী হয়েছেন।
ঢলুয়া: এই ইউনিয়নে বিএনপির আবু হেনা মোস্তফা কামাল ৭ হাজার ৫০১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের মো. আজিজুল হক স্বপন পেয়েছেন ৫ হাজার ৮৭১ ভোট।
বরগুনা সদর: এই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মো. গোলাম আহাম সোহাগ ৭ হাজার ৪৬৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আবু জাফর (আনারস প্রতীক) পেয়েছেন ৩ হাজার ৫০৫ ভোট।
এম বালীয়াতলী: এখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. শাহ্ নেওয়াজ ৮ হাজার ৬৪০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্রী প্রার্থী মো. মনিরুল ইসলাম (আনারস প্রতীক) পেয়েছেন ৩ হাজার ৩২৫ ভোট। ব্যালট পেপার ছিনতাই ও বক্স ভাংচুর করার কারণে এই ইউনিয়নের একটি কেন্দ্রের ফলাফল স্থগিত করা হয়েছে।
নলটোনা: এই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হুমায়ুন কবির ৫ হাজার ১১১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল মান্নান (আনারস প্রতীক) পেয়েছেন ৩ হাজার ৫৬ ভোট।
• পাথরঘাটা উপজেলা
এ উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের মধ্যে ছয়টিতে আওয়ামী লীগ এবং একটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।
কালমেঘা: এই ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী আকন মো. সহিদ (আনারস প্রতীক) ৪ হাজার ৬২২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের গোলাম নাসির পেয়েছেন ৪ হাজার ৩০০ ভোট।
পাথরঘাটা সদর: এ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মো. আসাদুজ্জামান ২ হাজার ৩২১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মো. মতিউর রহমান মোল্লা পেয়েছেন ১ হাজার ২২৬ ভোট।
নাচনাপাড়া: এখানে আওয়ামী লীগের ফরিদ মিয়া ৭ হাজার ৭৭১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মো. কামরুজ্জামান মোস্তফা পেয়েছেন ১ হাজার ৩৫৮ ভোট।
চরদুয়ানী: এই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মো. হাফিজ উদ্দীন আহমেদ বিজয়ী হয়েছেন।
রায়হানপুর: এ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মো. মিজানুর রহমান ৩ হাজার ৫৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মো. আবুল কালাম পেয়েছেন ১ হাজার ৭২৩ ভোট।
কাকচিড়া: এখানে আওয়ামী লীগের মো. আলাউদ্দিন পল্টু ৫ হাজার ৯০১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির আবুল হোসেন পেয়েছেন ৩ হাজার ৬৮৮ ভোট।
কাঠালতলী: এই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. শহিদুল ইসলাম পেয়েছেন ৫ হাজার ৯৫২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মো. হাফিজুর রহমান পেয়েছেন ৩ হাজার ৮২১ ভোট।
• বামনা উপজেলা
এ উপজেলার চারটি ইউনিয়নের মধ্যে একটিতে আওয়ামী লীগ এবং বাকি তিনটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।
বামনা সদর: এই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী চৌধুরী কামরুজ্জামান সগির ৭ হাজার ৮৭২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মো. এনায়েক কবির হাওলাদার পেয়েছেন ১ হাজার ২৫০ ভোট।
রামনা: এ ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী খালেক জোমাদ্দার (আনারস প্রতীক) ৩ হাজার ১২৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মো. জাহাঙ্গীর হাওলাদার পেয়েছেন ২ হাজার ৯৬২ ভোট।
ডৌয়াতলা: এখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী মিজানুর রহমান (আনারস প্রতীক) ৫ হাজার ৮৭৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের মো. শাহজালাল পেয়েছেন ২ হাজার ৪৯৫ ভোট।
বুকাবুনিয়া: এই ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইদুর রহমান সবুজ (চশমা প্রতীক) ৩ হাজার ২৪৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের মো. জাহাঙ্গীর হাওলাদার নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ২ হাজার ৯৯৮ ভোট।
• বেতাগী উপজেলা
এ উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের মধ্যে ছয়টিতে আওয়ামী লীগ এবং বাকি একটিতে বিএনপির প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।
বুড়ামজুমদার: এই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের সৈয়দ গোলাম বর ২ হাজার ৬১৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. মোস্তাফিজুর রহমান মিলন স্বতন্ত্র প্রার্থী (আনারস প্রতীক) পেয়েছেন ১ হাজার ৭৬৬ ভোট।
মোকামিয়া: এ ইউনিয়নে বিএনপির মোঃ. মাহবুব আলম ৩ হাজার ৩৩৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের গাজী মফিজুর রহমান চুন্নু পেয়েছেন ২ হাজার ৮৮৯ ভোট।
হোসনাবাদ: এখানে আওয়ামী লীগের মো. মাকসুদুর রহমান ফোরকান ৫ হাজার ২০৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. শহিদুল ইসলাম (ঘোড়া প্রতীক) পেয়েছেন ২ হাজার ৮৩৯ ভোট।
বেতাগী সদর: এই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মো. নজরুল ইসলাম ৪ হাজার ১৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ফ. ম. ফাহরিয়া সংগ্রাম আমিনুল (ঘোড়া প্রতীক) পেয়েছেন ২ হাজার ৫১৬ ভোট।
বিবিচিনি: এ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মো. নওয়ার হোসেন বিজয়ী হয়েছেন।
কাজিরাবাদ: এখানে আওয়ামী লীগের মো. মোশাররফ হোসেন ৩ হাজার ৪১৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মো. আ. বারেক মোল্লা পেয়েছেন ২ হাজার ৬৩৪ ভোট।
সরিষামুড়ি: এই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের ইমাম হাসান শিপর বিজয়ী হয়েছেন।
• আমতলী উপজেলা
এ উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের মধ্যে পাঁচটিতে আওয়ামী লীগ বাকিটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।
আরপাঙ্গাশিয়া: এই ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী এ. কে. এম. নুরুল হক (ঘোড়া প্রতীক) ২ হাজার ৯২৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আবুল কালাম আজাদ (আনারস প্রতীক) পেয়েছেন ২ হাজার ৭৫৫ ভোট।
চাওড়া: এ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মো. আখতারুজ্জামান খাঁন ৬ হাজার ৯৬৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মহসীন হাওলাদার (আনারস প্রতীক) পেয়েছেন ৩ হাজার ৭০০ ভোট।
হলদিয়া: এখানে আওয়ামী লীগের মো. সহিদুল ইসলাম মৃধা ৬ হাজার ৮৬৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্রী প্রার্থী মো. আসাদুজ্জামান (আনারস প্রতীক) পেয়েছেন ৬ হাজার ৩৭৮ ভোট।
আঠারগাছিয়া: এই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মো. হারুন অর রশিদ ৫ হাজার ১৩৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী বারেক মোল্লা হাতপাখা প্রতীকে পেয়েছেন ২ হাজার ৫৩৯ ভোট।
কুকুয়া: এ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বোরহান উদ্দিন আহমেদ ৭ হাজার ৩৫৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী এ. কে. এম. আবদুর রশিদ হাতপাখা প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ২৮৪ ভোট।
গুলিশাখালী: এই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মো. নুরুল ইসলাম ৮ হাজার ২১৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আসাদুর রহমান (ঘোড়া প্রতীক) পেয়েছেন ৪ হাজার ২৩১ ভোট।
মো. সাইফুল ইসলাম মিরাজ/এনএফ/এবিএস