জবির দুই আবাসিক হল নির্মাণের দায়িত্ব সেনাবাহিনীর হাতে হস্তান্তর

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:৫৭ পিএম, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
জবির নতুন দুই আবাসিক হল নির্মাণের দায়িত্ব সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের আবাসন সমস্যার সমাধানে দুটি নতুন আবাসিক ভবন নির্মাণের দায়িত্ব আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় ড. হাবিবুর রহমান হলে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাণী ভবন ও ড. হাবিবুর রহমান ভবনের নির্মাণকাজ ২৫ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়নের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস স্থাপন এবং ভূমি অধিগ্রহণ ও উন্নয়ন প্রকল্পের অংশ হিসেবে এই দুটি ভবন নির্মিত হচ্ছে। উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম এই কার্যক্রমের নেতৃত্ব দেন এবং সেনাবাহিনীর প্রকল্প পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ইফতেখার আলমের হাতে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন।

অনুষ্ঠানে লেফটেন্যান্ট কর্নেল ইফতেখার আলম বলেন, নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে কাজ সম্পন্ন করতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা থাকবে। আমরা গুণগত মান বজায় রেখে প্রকল্পটি সম্পন্ন করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

বিশ্ববিদ্যালয় ট্রেজারার অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন বলেন, এই দুটি হল নির্মাণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের আবাসন সমস্যা সামান্য হলেও সমাধান হবে। সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতায় কাজটি যথাযথ সময়ে সম্পন্ন হবে বলে আমি আশাবাদী।

উপাচার্য অধ্যাপক রেজাউল করিম বলেন, শিক্ষার্থীদের জন্য এই দুটি আবাসন ভবন নির্মাণের পেছনে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা রয়েছে। সেনাবাহিনীর আন্তরিক সহযোগিতায় আমরা এই ধাপে পৌঁছাতে পেরেছি। এটি একমাত্র সমাধান নয়; অস্থায়ী আবাসন নির্মাণের কাজও দ্রুত শুরু করা হবে। শিক্ষার্থীদের আবাসন চাহিদা পুরোপুরি মেটানো নাও যেতে পারে, তবে কিছুটা সুরাহা হবে।

অনুষ্ঠানে জবির শিক্ষক সমিতির সভাপতি, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, প্রক্টর, হল প্রভোস্ট, বিভিন্ন দপ্তরের পরিচালক, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, সাংবাদিক ও সেনাবাহিনী সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

টিএইচকিউ/কেএইচকে/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।