ঢাবি উপাচার্য
রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগের বিষয়টি গুজবও না, সত্যও বলবো না
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) ড. নিয়াজ আহমেদ খান ডেনমার্কে বাংলাদেশের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ পেতে যাচ্ছেন। এমন সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই ঢাবি ক্যাম্পাসজুড়ে শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা ও নানান জল্পনা-কল্পনা।
ফেসবুকে বিশ্ববিদ্যালয়ভিত্তিক অনলাইন গ্রুপে বিষয়টি নিয়ে শিক্ষার্থী ও সাবেক শিক্ষার্থীদের মধ্যে চলছে ব্যাপক আলোচনা। বর্তমান উপাচার্যের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগেই তার রাষ্ট্রদূতের পদে নিয়োগের সম্ভাবনা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
তবে বিষয়টি নিয়ে স্পষ্ট কিছু জানাননি উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমেদ খান। বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় জাগো নিউজকে তিনি বলেন, রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগের বিষয়ে যে তথ্যটি ছড়িয়েছে সেটিকে আমি গুজবও বলবো না, সত্যও বলবো না। তবে রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগের বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে আমাকে কোনো অফিসিয়াল প্রস্তাব দেওয়া হয়নি। আমি নিজেও এমন কোনো কিছুতে হ্যাঁ অথবা না বলিনি।
আরও পড়ুন
ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত হচ্ছেন ঢাবির ভিসি
গণভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামত ‘হ্যাঁ’ হলে যা হবে
মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে উপাচার্যের দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে কি না জানতে চাইলে নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, আমার নিয়োগপত্রে স্পষ্ট লেখা আছে যে আমাকে সাময়িক সময়ের জন্য নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। সুতরাং আমার তো মেয়াদ পূরণের কথা আসছে না।
এদিকে, আজ বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা যায়, ড. নিয়াজ আহমেদ খানের নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে। তবে শুধু তিনিই নন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ঘনিষ্ঠ তিন সহযোগীকেও রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন এসডিজি বিষয়ক দূত লামিয়া মোর্শেদ, আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক বিশেষ দূত লুতফে সিদ্দিকী এবং তার বোন হুসনা সিদ্দিকী।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্র জানায়, ড. নিয়াজ আহমেদ খানের নিয়োগ প্রক্রিয়া প্রায় শেষ পর্যায়ে পৌঁছেছে। তবে বাকি তিনজনকে নিয়ে আলোচনা এখনো প্রাথমিক ধাপে রয়েছে এবং এ বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক ফাইলওয়ার্ক শুরু হয়নি।
এফএআর/কেএসআর/জেআইএম