রাবি উপাচার্যের বিরুদ্ধে বিএনপি-জামায়াত তোষণের অভিযোগ


প্রকাশিত: ১২:২৩ পিএম, ১৮ এপ্রিল ২০১৫

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মিজানউদ্দিনের বিরুদ্ধে বিএনপি ও জামায়াত-শিবির তোষণের অভিযোগ এনেছে নগর আওয়ামী লীগ। এমন অভিযোগ তুলে শনিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা।

মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি মাহফুজুল আলম লোটন।

সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাদাত হোসেন।

তারা অভিযোগ করেন, যোগদানের পর উপাচার্য ১০ জন বিএনপি-জামায়াতপন্থী শিক্ষকের স্বজনকে প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। যার মধ্যে চারজন ছাত্র শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন।

তারা হলেন, পরিসংখ্যান বিভাগের জামায়াতপন্থী শিক্ষক রেজাউল করিমের শ্যালক ও প্রাণিবিদ্যা বিভাগের জামায়াতপন্থী শিক্ষক সালাম ভূঁইয়ার ভাতিজা ইসলামী ছাত্র শিবিরের সাথী ফয়সাল জামান, সাবেক ছাত্রশিবির নেতা মোস্তাফিজুর রহমান, ইংরেজি বিভাগে চাঁপাইনবাবগঞ্জে উপাচার্যের নিজ গ্রামের সাবেক শিবির নেতা আসিউজ্জামান এবং উপাচার্যের ভাগ্নে সাবেক শিবির নেতা হাবিবুল্লাহকে ফোকলোর বিভাগে প্রভাষক পদে নিয়োগ দিয়েছেন।

এছাড়াও বিএনপি-জামায়াতপন্থী সাবেক উপাচার্য ফাইসুল ইসলাম ফারুকীর ছেলে এ. নাঈম ফারুকী ফলিত রসায়ন ও রাসায়নিক প্রযুক্তি বিভাগে, বিএনপি-জামায়াতপন্থী সাবেক উপাচার্য আলতাফ হোসেনের মেয়েকে ভূগোল বিভাগে, বিএনপিপন্থী শিক্ষক সাফিউজ্জামানের (সাদা প্যানেলের সদস্য) স্ত্রী চৈতি অর্থনীতি বিভাগে, বিএনপিপন্ত্রী শিক্ষক আবুল হোসেন মোল্লার ছেলে তামজীদ হোসেন ফলিত রসায়ন ও রাসায়নিক প্রযুক্তি বিভাগে, বিএনপিপন্থী শিক্ষক শহিদুর রহমানের মেয়ে রিদা খাতুনকে দর্শন বিভাগে এবং বিএনপিপন্থী অপর এক শিক্ষকের স্ত্রী রাবেয়া বসরীকে অর্থনীতি বিভাগে প্রভাষক পদে নিয়োগ দিয়েছেন।

এছাড়াও উপাচার্য তার এলাকার জামায়াতপন্থী শিক্ষককে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও আরেকজনকে তার ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। কিন্তু, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শহীদ ফারুক হোসেনের বোনের চাকরি স্থায়ী করার কোনো উদ্যোগ নেননি বলেও সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, গত ১৬ এপ্রিল বিএনপি ও জামায়াত-শিবির তোষণ, স্বজন-প্রীতি, নিয়োগ বাণিজ্য, অনিয়ম-দুর্নীতি সম্পর্কে প্রতিবাদ ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ফারুকের বোনের চাকরি স্থায়ী করার দাবি জানাতে উপাচার্যের দপ্তরে যাওয়া হয়। তখন আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করা হয়। এসময় বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক হাবিবুর রহমান মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা শাহাদাত হোসেনকে লাঞ্ছিত করেন। কিন্তু, উপাচার্য তার অনিয়ম-দুর্নীতি আড়াল করার জন্য গণমাধ্যমে মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলন থেকে সাত দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে বলা হয়, এ সময়ের মধ্যে আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা না করলে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

এমজেড/এমএএস/আরআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।