জবিতে নজরুলের কবিতার উপর সেমিনার

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ‘নজরুল-জয়ন্তী-১৪২২’ উপলক্ষে নজরুলের কবিতার উপর একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে এ সেমিনারের আয়োজন করে বাংলা বিভাগ। সেমিনারে বিদ্রোহী কবিতার ‘আমি’: এ-কালের ধ্রুপদ অথবা বদলে যাওয়া ইতিহাসের সর্বাত্মক স্বর শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. সেলিম মোজাহার।
সেমিনারে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, বিদ্যা চর্চায় বিতর্ক জ্ঞানের উৎস সৃষ্টি করে। বিদ্যা চর্চায় ধারায় সেমিনারে যে বিতর্ক জন্ম দেয় তা অর্জিত জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করে, প্রসারিত করে।
তিনি আরো বলেন, নজরুলের কবিতাগুলোর মধ্যে বহু মাত্রিক দার্শনিক বিতর্ক রয়েছে। কেউ নজরুলকে বিদ্রোহী কবি বলন, আবার কেউ নজরুলকে মুসলিম জাগরণের কবি বলেন, আবার কেউ রোমান্টিক কবি আবরা কেউবা বলেন অসাম্প্রদায়িক কবি। আসলে সাহিত্য অঙ্গণে নজরুল প্রতিভার বহু মাত্রিকার জন্য বহু দার্শনিকতার জন্ম দেয়। আর এ দার্শনিকতার কাঠগড়ায় আলোচ্য বিদ্রোহী কবিতার ‘আমি’: এ-কালের ধ্রুপদ অথবা বদলে যাওয়া ইতিহাসের সর্বাত্মক স্বর একটি উজ্জ্বল প্রবন্ধের বিষয়।
সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, নজরুল শুধু বিদ্রোহী কবিই ছিলেন না, তিনি অসম্প্রদায়িক চেতনায় মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতেন। তার গান, কবিতা ও রচনায় সাধারণ মানুষের স্বাধীনতার রূপ প্রতিফলিত হয়। নজরুলের অসাম্প্রদায়িক চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে আমাদের ধর্মীয় সহিংসতা ও উগ্রতা থেকে বেরিতে আসতে হবে। দেশের মাটি ও মানুষের জন্য জীবনকে উৎসর্গ করতে হবে।
বাংলা বিভাগের প্রভাষক শরীফ সিরাজের সঞ্চালনায় ও বিভাগটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হোসনে আরা বেগমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির হিসেবে বক্তব্য রাখেন জবির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. সেলিম ভূঁইয়া এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম।
সেমিনারটি বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মিল্টন বিশ্বাসের স্বাগত বক্তব্যর মধ্য দিয়ে শুরু হয়। সেমিনারে বাংলা বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ ছাড়াও বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী, কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এসএইচএস/পিআর