ঢাবির বিজয় একাত্তর হল
নষ্ট খাবার দেওয়ায় রাস্তায় ফেলে ঢাবি শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হল প্রশাসনের উদ্যোগে দেওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে নষ্ট খাবার বিতরণের অভিযোগ উঠেছে। শুভেচ্ছা ভোজের খাবার নষ্ট হওয়ায় সে খাবার হলের আবাসিক শিক্ষক কোয়াটারের রাস্তায় ফেলে প্রতিবাদ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (২৩ জানুয়ারি) বিজয় একাত্তর হল ট্রাস্ট ফান্ডের প্রভোস্ট গোল্ড মেডেল, প্রভোস্ট অ্যাওয়ার্ড ও বৃত্তি দেওয়ার অনুষ্ঠানে সরবরাহ করা খাবার নিয়ে এ বিড়ম্বনার সূত্রপাত হয়। এসময় শিক্ষার্থীরা প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান দিতে থাকেন।
এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিজয় একাত্তর হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আব্দুল বাছির। তিনি বলেছেন, শিক্ষার্থীদের মধ্যে খাবার দেওয়ার দায়িত্ব যাকে দেওয়া হয়েছিল তার অবহেলার কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। যা খুবই দুঃখজনক। আমরা শিক্ষার্থীদের মধ্যে পুনরায় খাবার বিতরণ করার উদ্যোগ দেবো। আগামীকাল (২৪ জানুয়ারি) হলের নেতৃত্বস্থানীয় ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলে একটি উদ্যোগ নেওয়া হবে।
বিজয় একাত্তর হলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়— ২৩ জানুয়ারি অনুষ্ঠান উপলক্ষে হল কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের মধ্যে কুপন বিতরণ করে ২১ এবং ২২ জানুয়ারি। শিক্ষার্থীদের সুবিধার কথা ভেবে কুপন বিতরণের সময়সীমা বাড়ানো হয় ২৩ জানুয়ারি দুপুর পর্যন্ত। হলের আবাসিক পরিচয়পত্র অথবা পে-ইন স্লিপ দিয়ে কুপন হাতে পান শিক্ষার্থীরা। কিন্তু ২৩ জানুয়ারি রাত আনুমানিক সাড়ে আটটার সময় খাবার বিতরণ শুরু হয়। খাবারের বাটির ভেতরে পোলাও, এক পিস মুরগির রোস্ট এবং একটা ডিম দেওয়া হয়। কিন্তু বাটি খুললে খাবারে দুর্গন্ধ পান শিক্ষার্থীরা। রোস্ট এবং পোলাও উভয়েই দুর্গন্ধ সৃষ্টি হওয়ায় তা আর খাওয়ার উপযুক্ত ছিল না।
দেখা যায়— হলের দক্ষিণ দিকের বারান্দা দিয়ে হলের আবাসিক শিক্ষকদের কোয়াটারে যাওয়ার রাস্তায় খাবারের বাটি পড়ে আছে। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান দিয়ে রাস্তায় খাবারের বাটি ছুড়ছেন। এতে পুরো রাস্তা হাঁটার অনুপযোগী হয়ে গেছে।
বিজয় একাত্তর হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম বলেন, খাবার বিতরণের অনেক আগে রান্না করার জন্যই নষ্ট হয়ে গেছে। খাবার ঠিক সময়ে রান্না করে প্যাকেজিং করলে এ সমস্যা হতো না। অব্যবস্থাপনার জন্য পোলাও এবং রোস্ট নষ্ট হয়ে গেছে। আর এটি হয়েছে হল প্রশাসনের গাফলতির কারণে।
আল-সাদী ভূঁইয়া/এমএএইচ/জিকেএস