দুই বছর পর ঢাবির জগন্নাথ হলে বড় পরিসরে সরস্বতী পূজা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জগন্নাথ হলের মাঠে প্রতিবছরই ঘটা করে আয়োজন হয় সরস্বতীর পূজা। এতে দেশ-বিদেশ থেকে অনেক পুণ্যার্থী অংশ নেন। কিন্তু গত দুই বছর মহামারির কারণে স্বল্পপরিসরে বিদ্যা দেবী সরস্বতীর পূজা হয়। এবার সেটা বেশ জমকালো করেই আয়োজন হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) সকাল থেকেই ঢাবির জগন্নাথ হলে পুণ্যার্থীদের ঢল নামে। এবার বড় আকারের মোট ৭৩টি মণ্ডপে উদযাপন হচ্ছে সরস্বতী পূজা। এ উপলক্ষে খুলে দেওয়া হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদের পাঁচটি হল। এসব হলেও ভিড় করেছেন পুণ্যার্থীদের পাশাপাশি বিভিন্ন ধর্মের মানুষ।
হিন্দুধর্ম মতে, মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথিতে সাদা রাজহাঁসে চেপে দেবী সরস্বতী জগতে আসেন। পদ্মাসনে বসা দেবীর হাতে থাকে বীণা।
এবারের সরস্বতী পূজার আয়োজনে রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ২৪ ও ২৫ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। জানুয়ারির শুরু থেকেই তারা মণ্ডপ তৈরির কাজ করেন।
জগন্নাথ হলের উপাসনালয়ে করা হয়েছে পূজার প্রধান আয়োজন। এছাড়া হলের মাঠজুড়ে ৭১টি বিভাগের আয়োজনে ৭১টি মণ্ডপ রয়েছে। চারুকলার শিক্ষার্থীদের তৈরি বড় প্রতিমাটি রয়েছে হলের পুকুরে।
প্রতিমা বানানোর কাজে নিয়োজিত ছিলেন এমন এক শিল্পী বলেন, ৫০টির মতো প্রতিমা তৈরির কাজ পেয়েছিলাম এবার। প্রায় সবগুলোর কাজ শেষ। কয়েকদিন এগুলো নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করেছি। রাজহাঁস, বীণা, পদ্মাসন—এগুলো মৌলিক জিনিস।
চারুকলার মুহাম্মদ সাকি বলেন, সরস্বতী পূজা আমাদের জন্য অনেক অপেক্ষার একটা বিষয়। বছরের কয়েকটা সময় মাত্র আমরা আনন্দ নিয়ে কাজ করতে পারি। পহেলা বৈশাখ ও সরস্বতী পূজা সেগুলোর মধ্যে অন্যতম। আমরা সবাই এই কাজটাকে উপভোগ করি।
পূজা উদযাপন বিষয়ে জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষ ও পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মিহির লাল সাহা বলেন, এবার একটা নতুন উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে শিক্ষার্থীরা পূজায় যুক্ত হয়েছেন। করোনার কারণে গত দুই বছর একটা গ্যাপ ছিল। এবার সেই গ্যাপ পূরণ করে সবাই আনন্দমুখর পরিবেশে পূজা উদযাপন করছেন।
আল-সাদী ভূঁইয়া/জেডএইচ/এএসএম