২৩ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতু, ব্যবহার করা যায়নি ১৫ বছরেও

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি কিশোরগঞ্জ
প্রকাশিত: ০৮:১৩ এএম, ০২ এপ্রিল ২০২৫
সংযোগ সড়ক না থাকায় ব্যবহার করা যাচ্ছে না সেতুটি/ছবি-জাগো নিউজ

নির্মাণের প্রায় ১৫ বছর পেরিয়ে গেলেও সেতুতে উঠতে পারেনি এলাকাবাসী। সংযোগ সড়ক না থাকায় এই ভোগান্তিতে তৈরি হয়েছে। সেতুটির অবস্থান কিশোরগঞ্জের হাওর উপজেলা অষ্টগ্রামের কলমা ইউনিয়নের মোহনতলা বাজারের পাশে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, সেতুটি এলাকার কোনো উপকারেই আসেনি বরং দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সরেজমিন দেখা যায়, মোহনতলা বাজারের সামনে বাজুরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মোহনতলা উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঝামাঝি এলাকায় সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে। তবে সেতুর কোনো পাশেই সংযোগ সড়ক নেই। ফলে সেতুটি নির্মাণ হওয়ার পর থেকে ব্যবহার করত পারেনি এলাকাবাসী।

অষ্টগ্রাম উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থপনা মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে প্রায় ১৫ বছর আগে ২৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৯ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতুটি নির্মাণ করা হয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রিয়াঙ্কা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী বিশ্বম্ভর সাহা সেতুর কাজ করেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগে সেতুর দুই পাশের মাটি সরে গেলে পরে আর সেখানে মাটি দিয়ে ভরাট করা হয়নি। ফলে ২৩ লাখ টাকার সেতু অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে।

২৩ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতু, ব্যবহার করা যায়নি ১৫ বছরেও

সাপান্তর এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা দেবেন্দ্র জানান, সেতুটি ১৪-১৫ বছর আগে বানানো হয়েছে। তবে আজ পর্যন্ত গ্ৰামবাসী কোনোদিন এটি ব্যবহার করতে পারেনি। অথচ সেতুর দুই পাশে দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে। শত শত ছাত্র-ছাত্রী বর্ষাকালে অনেক কষ্টে চলাচল করে। সেতুর দুই পাশে মাটি ভরাট করে সংযোগ দিলে গ্ৰামবাসী উপকৃত হবে।

ক্ষোভ প্রকাশ করে মোহনতলা বাজারের ব্যবসায়ী প্রীতি রঞ্জন দাস বলেন, ‘এমন একটা সেতু তৈরি করা হয়েছে যার দুই পাশে মাটি নেই, সংযোগ নেই। তাহলে কীভাবে ব্যবহার করবে মানুষ? বর্ষাকাল এলে বাঁশের সাঁকো তৈরি করে বাজারে আসা যাওয়া করা লাগে।’

এ বিষয়ে জানতে সেতুটির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স প্রিয়াঙ্কা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী বিশ্বম্ভর সাহার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

অষ্টগ্রাম উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মজনু মিয়া বলেন, ‘আমি এখানে আসার অনেক আগেই সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে। শুনেছি এখানে বর্ষায় খালে প্রচণ্ড স্রোত থাকার কারণে সংযোগ সড়কে মাটি থাকে না। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’

এসকে রাসেল/এসআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।