দেড়মাস সংসার করার পর জানা গেলো নববধূ পুরুষ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি রাজবাড়ী
প্রকাশিত: ০৬:১৬ পিএম, ২৬ জুলাই ২০২৫
বিয়ের পরে ও বিয়ের আগে

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে প্রায় দেড়মাস সংসার করার পর স্ত্রী সম্পর্কে জানা গেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। প্রেম করে বিয়ে করা সামিয়া একজন পুরুষ। সে তথ্য গোপন রেখে স্বামীর বাড়িতে অবস্থান করেন তিনি।

শুক্রবার (২৫ জুলাই) সন্ধ্যায় বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। পরে শনিবার তাকে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

কথিত নববধূর নাম সামিয়া। তার প্রকৃত নাম মো. শাহিনুর রহমান। তিনি চট্টগ্রামের আমতলা ঈদগাহ বৌবাজার এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে।

স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্র জানায়, উপজেলার ছোট ভাকলা ইউনিয়নের হাউলি কেউটিল গ্রামের মো. বাদল খানের ছেলে মাহমুদুল হাসান শান্তর সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় হয় সামিয়ার। দীর্ঘদিন প্রেম করার পর গত ৭ জুন শান্তর বাড়িতে চলে আসেন সামিয়া। এরপর পরিবারের সম্মতিতে তাদের বিয়ে হয়। তখন থেকে নববধূ হিসেবে শান্তর পরিবারে বসবাস করতে থাকেন তিনি।

সম্প্রতি নানান কারণে শান্ত ও সামিয়ার আচরণে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সন্দেহ তৈরি হয়। শুক্রবার বিকেলে পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা নিশ্চিত হন নববধূ সামিয়া একজন পুরুষ। বিষয়টি জানাজানি হলে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

এ বিষয়ে মাহমুদুল হাসান শান্ত বলেন, ‘ফেসবুকে তার সঙ্গে পরিচয় হয়। একপর্যায়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ৭ জুন বাড়িতে চলে এলে মৌলভি এনে আমাদের বিয়ে দেওয়া হয়। সে সময় সামিয়ার জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকায় কাবিন রেজিস্ট্রি হয়নি। বিয়ের পর থেকে তার আচরণ রহস্যজনক ছিল। তার কাছে গেলে বলতো, আমি এখন অসুস্থ। ডাক্তার আপাতত কাছে আসতে নিষেধ করেছেন। গতকাল (শুক্রবার) তার আসল পরিচয় উন্মোচিত হয়। আজ সকালে তাকে বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।’

শান্তর মা মোছা. সোহাগী বেগম বলেন, ‘একজন পুরুষ পরিবারে বউ হয়ে এতদিন থাকলেও কেউ টের পাইনি। তার অভিনয়ে কেউ বুঝতে পারিনি সে ছেলে ছিল। সকালে তার বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছি।’

মো. শাহিনুর রহমান ওরফে সামিয়া মোবাইলে বলেন, ‘শান্তর সঙ্গে যা করেছি সেটা অন্যায় হয়েছে। এটা করা আমার ঠিক হয়নি। তবে আমার হরমোনজাতীয় শারীরিক সমস্যা রয়েছে। তাই নিজেকে মেয়ে ভাবতে ভালো লাগে।’

উপজেলার ছোট ভাকলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন বলেন, ‘এ বিষয় নিয়ে কেউ আমার কাছে আসেনি। তবে বিষয়টি পরিষদের এক মেম্বারের মুখ থেকে শুনেছি।’

গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। বিষয়টি নিয়ে এখন পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রুবেলুর রহমান/আরএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।