খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক

স্বাধীনতার পর এবার দেশে রেকর্ড পরিমাণ খাদ্য মজুত রয়েছে

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি শেরপুর
প্রকাশিত: ০৭:২০ পিএম, ২৩ আগস্ট ২০২৫

খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবুল হাছানাত হুমায়ুন কবীর বলেছেন, ‘দেশে খাদ্যের কোনো ঘাটতি নেই। স্বাধীনতার পর এবার দেশে প্রথমবারের মতো রেকর্ড ধান-চাল মজুত রয়েছে। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন খাদ্য গুদামে ২২ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল মজুত রয়েছে।’

শনিবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে শেরপুর জেলা সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে চলমান খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি বাস্তবায়ন বিষয়ক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘যে কোনো দুর্যোগকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলা, বাজার নিয়ন্ত্রণসহ কৃষকরা যাতে ন্যায্য মূল্য পান সেজন্য সরকার প্রতিবছর খাদ্য মজুত রাখে। গত ১৭ আগস্ট থেকে সারাদেশে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিতরণ শুরু হয়েছে, যা চলবে ছয়মাস পর্যন্ত। সারাদেশে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৫৫ লাখ কার্ডধারী উপকারভোগী রয়েছেন। শেরপুরে কার্ডধারীর সংখ্যা বাড়ানোর প্রয়োজন হলে জেলা প্রশাসক মন্ত্রণালয় বরাবর আবেদন পাঠালে আমরা তা বাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব।’

মহাপরিচালক আরও বলেন, ‘সরকার পরিবর্তনের পর ডিলার পরিবর্তনের জন্য সার্কুলার দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কিছু কিছু জায়গায় মামলা জটিলতায় স্থগিতাদেশের কারণে ডিলার পরিবর্তন করা যায়নি। আশা করছি, মামলা শেষ হওয়ার পর দ্রুত সেগুলোও পরিবর্তন করা হবে।’

তিনি বলেন, ‘সরকার চায় প্রান্তিক জনসাধারণ যাতে সঠিকভাবে সরকারি সুযোগ-সুবিধাগুলো সঠিকভাবে পায়। এজন্য আপনাদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। কোনো ভুলত্রুটি বা অসঙ্গতি পেলে সেগুলো তুলে ধরবেন।’

জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ময়মনসিংহের আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. আশরাফুল আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোসা. হাফিজা জেসমিন, শেরপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. নাজমুল হক ভূঁইয়াসহ শেরপুরের ৫ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও খাদ্য অধিদপ্তরের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মো. নাঈম ইসলাম/আরএইচ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।