ভাতার লোভ দেখিয়ে হাসিনা মুক্তিযোদ্ধাদের কিনে নিয়েছিল: টুকু

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: ০৭:০০ এএম, ০১ অক্টোবর ২০২৫
বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ (টুকু)/ছবি- সংগৃহীত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ (টুকু) বলেছেন, ভাতার লোভ দেখিয়ে শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধাদের কিনে নিয়েছিল। যে কারণে শহীদ জিয়াউর রহমানের বীর উত্তমের খেতাব কেড়ে নিলেও কোনো মুক্তিযোদ্ধা কথা বলেনি।

তিনি বলেন, কেউ প্রতিবাদের জন্য রাস্তায় নামেনি। অথচ জিয়াউর রহমান এদেশকে ঘুরিয়ে দিয়েছিল। আর বেগম খালেদা জিয়া দেশকে উন্নয়নের উচ্চ শিখরে পৌঁছে দিয়েছিল। এরপর শেখ হাসিনা বাংলাদেশের স্বাধীনতার মালিক দাবি করে শুধু লুটপাট না, মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের পচিয়ে দিয়ে গেছে।

মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সিরাজগঞ্জ পৌর শহরের ভিক্টোরিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ৮টি ওয়ার্ডের বিএনপির নব-গঠিত কমিটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

jagonews24

টুকু বলেন, বিগত সময়ে যারা আওয়ামী লীগ করে বিএনপির নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষকে অত্যাচার ও জুলুম করেছে তাদের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। তারেক রহমানের নির্দেশনা মোতাবেক অশুভ ফ্যাসিবাদ ছায়া শক্তির বিরুদ্ধে আমাদের সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ইসলাম ধর্মকে বিক্রি করা দলের হাত থেকে বাঁচাতে হলে এখনই মাঠে নামতে হবে। তারা এখনো ক্ষমা চায়নি। উলটো স্বাধীন দেশে ৫ আগস্টের পর মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে নানা সমালোচনা করছে। যারা মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে সমালোচনা করবে জিয়ার সৈনিককে তার প্রতিবাদ করতে হবে। আর মানুষকে বোঝাতে হবে-বেহেশতের মালিক একমাত্র আল্লাহ। কোনো দল নয়।

সিরাজগঞ্জ পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি সেলিম ভুঁইয়ার সভাপতিত্বে ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুন্সী জাহিদ আলমের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নুর কায়েম সবুজ, ভিপি শামীম, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি জুনায়েদ হোসেন সবুজ ও সাধারণ সম্পাদক সেরাজুল ইসলাম সেরাজ।

এম এ মালেক/এমআরএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।