তিস্তার পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি, লালমনিরহাটে বন্যার আশঙ্কা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি লালমনিরহাট
প্রকাশিত: ০৪:৫০ পিএম, ০৫ অক্টোবর ২০২৫
ছবি: তিস্তা ব্যারাজ

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল এবং কয়েক দিনের টানা ভারি বৃষ্টিপাতে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি পৌঁছেছে। এতে লালমনিরহাটের নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলগুলোতে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ পরিস্থিতিতে কর্তৃপক্ষ সতর্কতা জারি করেছে এবং পানি নিরাপদে সরানোর জন্য তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছে।

রোববার (৫ অক্টোবর) সকাল ৯টায় তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানির প্রবাহ রেকর্ড করা হয় বিপৎসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার নিচে। দুপুর ১২টায় তা বেড়ে ১৫ সেন্টিমিটার নিচে, আর বিকেল ৩টায় রেকর্ড করা হয় বিপৎসীমার মাত্র ১ সেন্টিমিটার নিচে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, আগামী ৫ অক্টোবর সকাল ৯টা থেকে ৬ অক্টোবর সকাল ৯টার মধ্যে দেশের অভ্যন্তরে ও উজানে ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। এতে লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও কুড়িগ্রাম জেলার নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার বলেন, কয়েক দিনের ভারি বৃষ্টিপাত এবং উজান থেকে নেমে আসা ঢলের কারণে তিস্তার পানি বিপৎসীমা অতিক্রমের আশঙ্কা রয়েছে। দুপুরে বিপৎসীমার এক সেন্টিমিটার নিচে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে তা অতিক্রম করতে পারে। তীরবর্তী এলাকাগুলোর মানুষকে অগ্রিম জানানো হয়েছে যেন তারা প্রস্তুত থাকে। তবে পানি কমে গেলে লোকালয়ে পানি ঢোকার ঝুঁকি কমবে।

অন্যদিকে লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. শায়খুল আরিফিন বলেন, বর্তমানে তিস্তা তীরবর্তী অঞ্চলে রোপা আমন, চিনা বাদাম ও শাকসবজির চাষ হচ্ছে। পানি যদি তিন থেকে চার দিন স্থায়ী হয় তাহলে কৃষকদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। তবে এক থেকে দুই দিনের মধ্যে পানি নেমে গেলে তেমন ক্ষতি হবে না। আমরা চেষ্টা করছি কৃষকদের ক্ষতি যেন কম হয়।

মহসীন ইসলাম শাওন/এনএইচআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।