উপদেষ্টার আগমনে পর্দায় ঢেকে গেলো আবর্জনার স্তূপ

উপজেলা প্রতিনিধি উপজেলা প্রতিনিধি ভৈরব (কিশোরগঞ্জ)
প্রকাশিত: ১২:৫০ পিএম, ০৮ অক্টোবর ২০২৫
উপদেষ্টার আগমন উপলক্ষে সড়কের পাশের আবর্জনার স্তূপ পর্দা দিয়ে ঢেকে দিয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ

কিশোরগঞ্জের ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের আগমন উপলক্ষে সড়কের পাশের আবর্জনার স্তূপ পর্দা দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আলোচনা-সমালোচনা চলছে।

বুধবার (৮ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে ঢাকা থেকে ট্রেনে ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনে আসেন উপদেষ্টা। পরে সড়ক পথে ব্রাক্ষণবাড়িয়ার সরাইলে উদ্দেশ্যে রওনা দেন।

আরও পড়ুন:
উপদেষ্টা আসবেন বলে...
এক সড়কেই দিন পার, ক্ষতির মুখে ব্যবসা-বাণিজ্য

স্থানীয় বাসিন্দা জাকির হোসেন বলেন, এতদিন ধরে শহরের গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়কের পাশে ময়লার স্তূপের কারণে পথচারীরা নাক চেপে চলাচল করতে হয়েছে। কিন্তু আজকে সরকারের একজন উপদেষ্টা আসবেন বলে কাপড়ের পর্দা দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। তাছাড়া ময়লার স্তূপ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে ব্লিচিং পাউডার ছড়ানো হয়েছে যেন দুর্গন্ধ না ছড়ায়।

উপদেষ্টার আগমনে পর্দায় ঢেকে গেলো আবর্জনার স্তূপ

পৌর শহরের ঘোড়াকান্দা এলাকার ব্যবসায়ী সেলিম মিয়া বলেন, বাড়ি থেকে বের হয়ে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যেতে এই সড়ক দিয়ে যেতে হয়। সড়কটির পাশে রেলের পুকুরে অবাধে ময়লা আবর্জনা ফেলে ভরাট করছে। এতে ময়লা আবর্জনা থেকে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়ে জনমনে দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে।

জানা যায়, বন্দরনগর ভৈরব একটি বাণিজ্য এলাকা হওয়ায় আশেপাশের কয়েক জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ট্রেনে চড়ে বিভিন্ন গন্তব্যে যেতে প্রতিদিন হাজারো মানুষ রেলওয়ে স্টেশন সড়ক দিয়ে যাতায়াত করেন। এছাড়া শহরের ঘোড়াকান্দা পলাশের মোড় এলাকায় অবস্থিত ৩টি স্কুলের প্রায় হাজারো শিক্ষার্থী প্রতিদিন সড়কটি দিয়ে চলাচল করে। শহরের অন্যতম ব্যস্ত স্টেশনে যাওয়ার সড়কটির পাশে ঘোড়াকান্দা পলাশ মোড়ে প্রতিদিন ৩০-৪০ টন ময়লা আবর্জনা ফেলা হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন এই সড়ক দিয়েই চলাচল করা ট্রেনের যাত্রী, শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ। পৌর শহরের ১২টি ওয়ার্ডে ময়লা আবর্জনা সড়কের পাশে অবস্থিত রেলওয়ের একটি বড় পুকুরে ফেলা হচ্ছে। এতে পুকুরের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ ভরাট হয়ে গেছে আবর্জনায়।

উপদেষ্টার আগমনে পর্দায় ঢেকে গেলো আবর্জনার স্তূপ

অতি দ্রুত জনবহুল এলাকা থেকে ময়লা আবর্জনার স্তূপ অন্যত্র সরিয়ে নির্ধারিত জায়গায় ফেলার দাবি স্থানীয়দের।

এ বিষয়ে ভৈরব পৌরসভার কনজারভেন্সি ইন্সপেক্টর মো. রফিকুল ইসলাম রোকন জানান, পৌরসভার নির্দিষ্ট ডাম্পিং ব্যবস্থা না থাকায় শহরের ময়লা আবর্জনা সড়কের পাশে রেলের জায়গায় ফেলতে হয়। আমরা প্রতিদিনই ময়লা আবর্জনা স্তূপে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করি। আজকে সরকারের রেলপথ উপদেষ্টা আসবেন বলে কাপড়ের পর্দা দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। যাতে ভৈরবে আগত অতিথিদের চোখে না পড়ে।

রাজীবুল হাসান/এমএন/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।