সালিশে না আসা নিয়ে ফরিদপুরে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৪০
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় আধিপত্য বিস্তার ও সালিশ-বৈঠককে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে কমপক্ষে ৪০ জন আহত হয়েছেন। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রোববার (২ নভেম্বর) বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত উপজেলার হামিরদী ইউনিয়নের গুপিনাথপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গুপিনাথপুর এলাকার বাসিন্দা সায়মন শেখ (৫০) ও কুদ্দুস মুন্সি গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ছোট হামিরদির মোতালেব মাতুব্বরের দোকানে এসে কুদ্দুস মুন্সির লোকজনের সামনে কুদ্দুস মুন্সিকে নিয়ে গালিগালাজ করেন সায়মন শেখ। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়। এ ঘটনায় রোববার বিকেলে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে গুপিনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে সালিশি বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সালিশ প্রত্যাখ্যান করে সায়মন শেখ গ্রুপ। পরে এ নিয়ে এক পর্যায়ে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ৪০ জন আহত হন।

স্থানীয় ছোট হামিরদী গ্রামের বাসিন্দা সাহাদাৎ ফকির (৪০) জাগো নিউজকে বলেন, ‘দুই পক্ষের সালিশ বৈঠক ছিল। একপক্ষ সালিশ বৈঠকে উপস্থিত না হলে পরে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে দুই পক্ষের কমপক্ষে ৪০ জনের মতো আহত হয়েছেন।’
সংঘর্ষে আহত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি সবুজ শেখ (৩৫) জাগো নিউজকে বলেন, সালিশ বৈঠকে সায়মন পক্ষের লোকজন হাজির না হলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ লেগে যায়।
এ বিষয়ে কুদ্দুস মুন্সি (৬৫) জাগো নিউজকে বলেন, ‘সায়মন শেখের লোকজন সালিশ বৈঠকে উপস্থিত না হয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের লোকজনের ওপর হামলা চালায়। তারা অন্তত ২০টি বাড়ি, তিনটি দোকান ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। এতে আমার পক্ষের কমপক্ষে ২৫ জনের মতো আহত হয়েছেন।’
ঘটনার বিষয়ে বক্তব্য জানতে সায়মন শেখের সঙ্গে মোবাইলফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা তানসিভ জুবায়ের নাদিম জাগো নিউজকে বলেন, ‘সংঘর্ষে গুরুতর আহত চারজনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অন্তত ২৫ থেকে ৩০ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আরও রোগী আসছে।’
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
এন কে বি নয়ন/এসআর/জিকেএস