৮৩ বছর পর দখলমুক্ত হচ্ছে সড়ক বিভাগের জমি

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি দিনাজপুর
প্রকাশিত: ০৫:৫১ পিএম, ০৩ নভেম্বর ২০২৫

দিনাজপুর শহরের পুলহাট থেকে খানপুর পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার রাস্তার পার্শ্বে সড়ক বিভাগের জায়গায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে।

সোমবার (৩ নভেম্বর) সদর উপজেলার সিকদারহাটে এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। এই অভিযানের আওতায় পড়েছে কয়েক হাজার দোকান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও কলকারখানা।

দিনাজপুর সড়ক বিভাগের একটি সূত্র জানিয়েছে, এই অভিযান আগামীকাল পর্যন্ত বাড়তে পারে।

এর আগে রোববার (২ নভেম্বর) সকাল থেকে পুলহাটের শুরু পুলিশ ফাঁড়ির মোড় থেকে শুরু করে মাসিপুর কেবিএম কলেজ পর্যন্ত উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়।

উচ্ছেদ অভিযানের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সড়ক ও জনপদ বিভাগের প্রধান কার্যালয়ের উপসচিব, এস্টেট ও আইন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশফাকুল হক চেীধুরী।

৮৩ বছর পর দখলমুক্ত হচ্ছে সড়ক বিভাগের জমি

সরেজমিনে দেখা যায়, সোমবার দিনাজপুর থেকে খানপুর পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার সড়কের সিকদারহাট এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান চলছে। উচ্ছেদ অভিযানের ফলে রাস্তার দুই ধার ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ এই অভিযান দেখতে ভিড় করেছেন। কোনো প্রকার বাধা ছাড়াই শান্তিপূর্ণ পরিবেশে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।

দিনাজপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এই জমিগুলো ৮৩ বছর আগে ১৯৪২ সালে অধিগ্রহণ করে সড়ক ও জনপদ বিভাগ। ২০০২ সালে গেজেটের আওতায় উচ্ছেদের নোটিশ দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু জটিলতার কারণে তা কার্যকর হয়নি। এবার পুনরায় নোটিশ, মাইকিং এবং পত্রিকায় গণবিজ্ঞপ্তি দিয়ে ৩০ অক্টোবরের মধ্যে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার জন্য বলা হয়। নোটিশ পেয়ে অনেকে নিজ উদ্যোগে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিয়েছে।

দিনাজপুর সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ওই জমিগুলো ১৯৪২ সালে গেজেটভুক্ত হয়েছে। যেহেতু গেজেট হয়েছে সেহেতু এসব জমি মালিকানা দাবির কোনো সুযোগ নেই। উচ্ছেদ অভিযান চলমান রয়েছে। প্রয়োজনে এই অভিযান আরও একদিন বাড়তে পারে।

উচ্ছেদ অভিযানে সড়ক ও জনপদ বিভাগের প্রধান কার্যালয়ের উপসচিব, এস্টেট ও আইন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশফাকুল হক চেীধুরীসহ এস্কেভেটর, ভেকুসহ কয়েশ শ্রমিক এই উচ্ছেদ অভিযানে অংশ নিয়েছে। সঙ্গে রয়েছে পুলিশ, আনসার, র‌্যাব ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।

এমদাদুল হক মিলন/কেএইচকে/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।