চকরিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনা

সাতদিন পর মারা গেলেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী লিশানও

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি কুমিল্লা
প্রকাশিত: ১০:০১ পিএম, ১২ নভেম্বর ২০২৫

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে যাওয়ার পথে চকরিয়ায় বাস ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে একই পরিবারের পাঁচজন নিহতের ঘটনায় গুরুতর আহত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী শাহেদ মজুমদার লিশান চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

বুধবার (১২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর নিউরো সাইন্স হসপিটালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

লিশানের খালাতো ভাই মনিরুল হক রাত ৮টায় জাগো নিউজকে এই তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।

লিশান বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজির অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। তিনি চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার ফালগুনকরা গ্রামের আবদুল মন্নান মজুমদারের একমাত্র ছেলে।

এর আগে গত ৫ নভেম্বর সকালে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের ফাঁসিয়াখালী ঢালা এলাকায় চট্টগ্রামমুখী মারসা পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে কক্সবাজারমুখী মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে মারা যান লিশাসনের বোন ফারজানা মজুমদার লিজা, ফারহানা মজুমদার টিজা, মা রিজওয়ানা মজুমদার শিল্পী, বোনের শাশুড়ি রুমি বেগম ও ননদ সাদিয়া পাটোয়ারী। ওই ঘটনায় আহত হন লিশান মজুমদার, তার দুলাভাই উদয় পাটোয়ারি ও ভাগিনা সানাদ পাটোয়ারী।

খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন, ফায়ার সার্ভিস কর্মী ও প্রশাসন আহতদের উদ্ধার শেষে চকরিয়া ও কক্সবাজারের হাসপাতালে ভর্তি করায়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য লিশান মজুমদারকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুদিন চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবস্থার অবনতি হলে চট্টগ্রাম পার্কভিউ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। বুধবার সকালে তাকে সেখান থেকে ঢাকার নিউরো সাইন্স হসপিটালে পাঠালে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়।

এদিকে স্ত্রী ও দুই মেয়ের পর একমাত্র ছেলে লিশানকে হারিয়ে তার বাবা আবদুল মন্নান মজুমদার বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন।

জাহিদ পাটোয়ারী/আরএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।