লক্ষ্মীপুরে বিএনপি নেতা খুন: মামলায় ছাত্রদল নেতাসহ আসামি ১৩

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি লক্ষ্মীপুর
প্রকাশিত: ০৯:৪০ এএম, ১৮ নভেম্বর ২০২৫

লক্ষ্মীপুরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপি নেতা আবুল কালাম জহিরকে (৫০) কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যার ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। এতে চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রদলের সদস্য কাউছার মানিক বাদলসহ ১৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে নিহতের দ্বিতীয় স্ত্রী আইরিন আক্তার বাদী হয়ে এ মামলা করেন।

ওই মামলায় রোববার (১৬ নভেম্বর) আটক ইমন হোসেন (২১), আলমগীর হোসেন (৪০) ও হুমায়ুন কবির সেলিমকে (৫০) গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ।

মামলার এজাহার সূত্র জানায়, বিবাদীরা সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সক্রিয় সদস্য এবং লিডার। জহির মৃত্যুর আগে তার মৃত্যু সংক্রান্ত ঘটনায় বিবাদীদের বিষয়ে ভিডিও করে বাদী আইরিনের কাছে পাঠিয়েছেন। তিনি জীবদ্দশায় বিবাদীদের দ্বার খুন-গুম হতে পারেন বলে বাদীর কাছে আশঙ্কা প্রকাশ করতেন। অভিযুক্তদের ভয়ে জহিরের প্রথম স্ত্রী-সন্তানসহ আত্মীয় স্বজনরা কেউই থানায় মামলার করতে সাহস পাচ্ছিল না। জহির একজন ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদ ছিলেন। পশ্চিম লতিফপুর গ্রামের মোস্তফার দোকান এলাকায় তার ব্যক্তিগত কার্যালয় ছিল। প্রতিদিনের মতো কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে রাত ৮টা থেকে সাড়ে টার মধ্যে স্থানীয় পাঁচপাড়া সড়কের পশ্চিম লতিফপুর গ্রামের ফারুকের বাড়ির সামনের পাকা রাস্তার ওপর তাকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, জহির চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও পশ্চিম লতিফপুর গ্রামের মনছুর আহমেদের ছেলে।

শনিবার (১৫ নভেম্বর) রাতে পশ্চিম লতিফুর এলাকায় তাকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। জহিরের সঙ্গে স্থানীয় ছাত্রদল কর্মী কাউছারের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছিল। সম্প্রতি এলাকায় একটি খেলার আয়োজন নিয়ে বিরোধ বেড়ে যায়। এর জের ধরেই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কাউছার হত্যাসহ কয়েকটি মামলার পলাতক আসামি। অন্যদিকে নিহত আবুল কালামের বিরুদ্ধেও ৬টি মাদকসহ ৭ মামলা এবং একাধিক জিডি রয়েছে।

এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে চাইলে বাদী আইরিন আক্তার বলেন, এ ঘটনায় আমি কোনো কিছু বলতে চাচ্ছি না। তিনি পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন।

চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফয়জুল আজীম বলেন, নিহতের স্ত্রী খুনের ঘটনায় মামলা করেছেন। এরইমধ্যে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করে গ্রেফতার করা হবে।

কাজল কায়েস/এফএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।